দেশে ফিরেই পুলিশের কাছে পুরস্কার দাবি হিরো আলমের!
সাদাকালো নিউজ
ফেরারি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের সোনার দোকানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে দুবাই থেকে দেশে ফিরেছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। রোববার সকাল ৮টা ১০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইনসে ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছান হিরো আলম। বিমানবন্দরে নেমেই পুলিশের কাছে পুরস্কার দাবি করেন তিনি।
বিমানবন্দরে নেমে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে বাইরে অপক্ষেমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হিরো আলম। এ সময় পুরস্কার দেয়া যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, সাকিব আল হাসান এবং আমার মাধ্যমেই পুলিশ একজন ফেরারির সন্ধান পেয়েছে। তাই পুলিশের উচিত আমাকে আর সাকিব আল হাসানকে মেডেল দেয়া। আমরা যদি সেখানে না যেতাম, তা হলে পুলিশ তার সন্ধান পেত না। তাই আমাদের পুরস্কার দেয়া উচিত।
হিরো আলম বলেন, ঢাকার উদ্দেশে বিমানে রওনা দেয়ার আগে শনিবার বিকেলে দুবাইয়ে মরুভূমিতে পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে নিজের গাওয়া ইসলামিক গানের মিউজিক ভিডিওর শুটিং শেষ করেছি। রমজানে এবার চমক হিসেবে আমার গাওয়া ইসলামিক গান থাকবে।
বর্তমানে হিরো আলমের হাতে পাঁচটি সিনেমা রয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন ইভেন্ট ও স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্বঘোষিত এই হিরো। এর মধ্যে দুবাইয়ে একটি সোনার দোকান উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন তিনি।
এর আগে আরাভের বিষয়ে দেশের একটি গণমাধ্যমকে হিরো আলম বলেছিলেন, আমি সব জানি, সারাক্ষণ আরাভ ভাইয়ের কাছেই থাকি। তবে বিষয়টি নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা আর্টিস্ট যেকোনো জায়গাতে যেতে পারি। কে কী করলো, সেটা তো আমরা দেখি না।
আরাভের বিষয়টি আগে থেকে জানতেন কি না- এমন প্রশ্নে হিরো আলম বলেন, আগে থেকে জানতাম না। খবর প্রকাশের পর জানতে পেরেছি। তবে এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।
হিরো আলম আরও বলেন, আরাভ খানতো এক মাস আগে থেকে তার দোকানের বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। তার নামে যে এতো অভিযোগ, সেটা নিয়ে আপনারা আগে খবর প্রকাশ করতে পারতেন। তখন আমরা ভেবে দেখতাম, অনুষ্ঠানে যাওয়া যাবে কি না।
ফেরারি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান দুবাইয়ে বাংলাদেশি পরিচয় দেন। অথচ তিনি দেশটিতে গেছেন ভারতের পাসপোর্ট নিয়ে। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার আশুতিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম মতিউর রহমান মোল্লা। আর ভারতের পাসপোর্টে তার ঠিকানা পশ্চিমবঙ্গের নরেন্দ্রপুর গ্রামে। বিয়ে করেছেন আসামের নাগরিক সাজেমা নাসরিনকে।
পাসপোর্টের তথ্য বলছে, ২০২০ সালে অবৈধভাবে ভারতীয় পাসপোর্ট সংগ্রহ করেন রবিউল। এর পরের বছর দুবাই চলে যান। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে সেখানে স্বর্ণের ব্যবসায়ী, বুর্জ আল খালিফা ভবনে ফ্ল্যাট এবং দামি দামি গাড়ির মালিক বনে যান। কিভাবে এতো তাড়াতাড়ি বিত্তশালী হলেন রবিউল তা নিয়ে এখন চলছে আলোচনা।