বিএনপি বিদেশিদের কাঁধে ভর করে ষড়যন্ত্রের পথ খোঁজছে: হানিফ
সাদাকালো নিউজ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি বিদেশিদের কাঁধে ভর করে ষড়যন্ত্রের পথ খোঁজছে। তারা ভাবছে বিদেশিদের কাঁধে ভর করে নাশকতা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ কালে তিনি এ কথা বলেন।
মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির এমন ভাবনাই বলে তারা রাজনৈতিকভাবে অপরিপক্ক। তাদের যে নেতা লন্ডনে পলাতক তার রাজনৈতিক জীবন বলে কিছু নেই। তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সন্ত্রাসী হঠকারিতা ছাড়া আর কিছু নেই। এমন একটা ব্যক্তিকে নেতা হিসেবে বিএনপি মানতে পারে, কিন্তু দেশের জনগণ কখনো মানে না।
হানিফ বলেন, এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার যে তারা দেশের মানুষকেই নয়, দলের নেতা-কর্মীদেরও ধোঁকা দিয়েছে। তাদের নেতা-কর্মীদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছে ১০ তারিখের পর সরকার থাকবে না, খালেদা জিয়ার কথা দেশ চলবে। ১০ তারিখ তো চলে গেছে দেশবাসী দেখলো কিছুই হলো না। বিএনপির নেতা-কর্মীরা যে আশা নিয়ে এসেছিল সেখানে ছাই পড়েছে। তাদের কর্মীরা বুঝতে পেরেছে যে শীর্ষ নেতারা ধোঁকা দিয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের কর্মসূচিতে দেশের কথা নেই, জনগণের কথা নেই। তারা দেশের সংবিধান মানবে, আইন মানবে আবার বলবে যে খালেদা জিয়ার মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। খালেদার বাঘা বাঘা আইনজীবীরা নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেনি। দফায় দফায় সময় নিয়েছে। নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিএনপি এই তারিখে তাদের কর্মসূচি নিয়ে যেভাবে প্রচার প্রোপাগান্ডা করে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে। ভাবখানা এমন ছিল এরপর সরকারই থাকবে না। গত দু’তিন মাস বিএনপি যে সকল কথাবার্তা বলেছে তাতে প্রমাণ হয় এরা ভাঁওতাবাজির দল, মিথ্যাবাদীর দল। বিএনপি জানে দেশের জনগণ তাদের সঙ্গে থাকবে না। এখনও নেই, ভবিষ্যতেও থাকবে না কারণ অতীতের নানা কর্মকাণ্ড, দুর্নীতি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদকে মদদ দেওয়ার ফলে জনগণ তাদের পক্ষে আর দাঁড়াবে না। এ জন্য তারা ষড়যন্ত্রের পথ খোঁজছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, সংসদে বিএনপির অবস্থান তৃতীয়। সাড়ে তিনশ সংসদ সদস্য মধ্যে সাতজন না থাকলে সংসদের কার্যক্রমে কোনো কিছু আসবে যাবে না। প্রত্যেক মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। তাই বিএনপির সংসদ সদস্যদেরও পদত্যাগ করার অধিকার আছে। তবে তারা পদত্যাগ করে ভোটারদের সঙ্গে অন্যায় করলো। এলাকার জনগণ তাদের সুবিধা-অসুবিধা কথা বলতে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল। ব্যক্তিগত স্বার্থে পদত্যাগ করে তারা প্রমাণ করলো বিএনপি আসলে দেশের জনগণের জন্য নয়, নিজেদের জন্য রাজনীতি করে।