বিএনপি নেতা ড. মোশাররফ সিসিইউতে
সাদাকালো নিউজ
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। হঠাৎ করে শারিরীকভাবে অসুস্থ বোধ করায় ১৬ই জুন বিএনপির এই নেতাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তিনি বর্তমানে সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
১৯৪৬ সালের পহেলা অক্টোবর কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার গয়েশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তার বাবা খন্দকার আশরাফ আলী ও মা হোসনে আরা হাসনা হেনা।
১৯৬২ সালে কুমিল্লার দাউদকান্দি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি সম্পন্ন করেন খন্দকার মোশাররফ। ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭০ সালে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে আরেকটি ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৭৩ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূতত্ত্ব বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৭৪ সালে ইম্পেরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিআইসি লাভ করেন।
কর্মজীবনের শুরুতে ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব অনুষদে জুনিয়র লেকচারার হিসেবে যোগ দেন খন্দকার মোশাররফ। পর্যায়ক্রমে সহকারী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
১৯৭৯ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আহ্বানে বিএনপিতে যোগ দেন খন্দকার মোশাররফ। তিনি দলটির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য। এছাড়া কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি এবং বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও যুগ্ম মহাসচিব পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
কুমিল্লা-২ আসন থেকে চারবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন খন্দকার মোশাররফ। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিএনপি সরকারের বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৬ সালে স্বল্পমেয়াদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিএনপির বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ বুকে ব্যথা অনুভব করলে শুক্রবার আনুমানিক রাত প্রায় সাড়ে তিনটার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার বড় ছেলে খন্দকার মাহবুব হোসেন তুষারসহ পরিবারের সদস্যরা তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের কার্ডিওলজির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. শাহবুদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধানে ভর্তি করান। পরিবারের পক্ষ থেকে বিএনপির এই নেতার আশু সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।