বিএনপি নেতা চাঁদ এখন কোথায়?
সাদাকালো নিউজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পরপারে পাঠানোর হুমকি দেয়ার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও ধরা পড়েনি রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তার শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
এদিকে এর মধ্যে রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে চাঁদের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ ধরা পড়া এড়াতে আত্মগোপনে গেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।
গেল ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা ও মহানগর বিএনপির সভায় প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার হুমকি দেন আবু সাঈদ চাঁদ। পরে ২০ মে বিকেল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সেই বক্তব্যের ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
২২ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে চাঁদকে বলতে শোনা যায়, আর ২৭ দফা, ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। এক দফা, শেখ হাসিনাকে মাটির অন্ধকার ঘরে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার জন্য যা যা করণীয়, আমার তাই করব ইনশাআল্লাহ।
বিএনপি নেতার এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যে ফুসে উঠে রাজশাহীসহ দেশের সর্বস্তরের জনগণ। চাঁদকে আইনের আওতার আনার দাবি জানিয়ে সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন। দলের কেন্দ্রীয় নেতাসহ তৃণমূলের কর্মীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেনে।
এরপর রাজশাহী, চট্টগ্রাম, নাটোরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় চাঁদসহ বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীর নামে মোকদ্দমা দায়ের হয়। এই মোকদ্দমায় বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা পুলিশের জালে ধরা পড়লেও পালিয়ে যান চাঁদ।
ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ জানান, মোকদ্দমা দায়ের হওয়ার পরি অঅত্মগোপনে চলে যান চাঁদ। তাকে ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন তৎপর আছে। চাঁদ যাতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারেন সে বিষয়েও প্রশাসন সতর্ক আছে।
তবে এবারি প্রথম নয় এর আগেও বিএনপি নেতা চাঁদ প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করেন। এমন অভিযোগে গেল বছরের ২৬ জুলাই তার বিরুদ্ধে মানহানির মোকদ্দমা হয়। এছাড়া ২০০১ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন না পেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কটূক্তি করে দলের রোষানলে পড়েন।
এছাড়া বিভিন্ন সময় জনসমাবেশে বিশৃঙ্খলা করে হাজতও খাটতে হয়েছে আবু সাঈদ চাঁদকে। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ৩৭টি মোকদ্দমা চলমান রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।