বিএনপির দুঃশাসন ও নির্বাচনে কারচুপির জন্য দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আবির্ভাব হয়েছিল: আইনমন্ত্রী
সাদাকালো নিউজ
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আবির্ভাব হয়েছিল বিএনপির দুঃশাসন ও নির্বাচনে কারচুপির জন্য।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সংস্কার কাজের উদ্বোধন শেষে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, আপনারা (বিএনপি) ১৯৯৬ সালে নির্বাচন দেখেছেন, ২০০৬-২০০৭ সালের প্রথম দিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখেছেন, এই অপকর্মের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্ম হয়েছিল। যৌক্তিক কোনো দাবির বিষয়ে আওয়ামী লীগের কোনো সমস্যা নেই। ২০২১ সালের শেষ দিকে করোনা যখন চলছিল তখন একটি দাবি উঠল যে, আমাদের সংবিধানে নির্বাচন কমিশন গঠনের সব পদ্ধতি লেখা আছে। সেখানে বলা আছে, একটি আইন করতে হবে। বলা হলো সেই আইনটি নেই, তা করতে হবে। আমার কাছে একটি এনজিও নেতৃবৃন্দ আসলেন এবং তারা একটি পরিপত্র দিলেন। সেখানে নির্বাচন কমিশন গঠনের যে আইন সেটি করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমি বলেছিলাম করোনাকালীন সময়, একটি আইন করতে হলে সংসদ ঠিকভাবে বসতে হবে। সংসদ বসলে আমরা আইনটি করে দেব। উনারা বললেন, সংসদ বসা দরকার নাই, অর্ডিনেন্স দিয়ে করে ফেলেন। আমি বলেছিলাম, এত বড় ও গুরুত্বপূর্ণ একটি আইন সংসদকে বাদ দিয়ে করব না। এরপর রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সকল রাজনৈতিক দলকে আলাদাভাবে দাওয়াত দিলেন। সেখানে আলোচনা হলো এই আইনটি হওয়া উচিত। আমরা সেই সময়ে আইনটি করে দিয়েছি। সকল দলের যৌক্তিক সংশোধন নিয়ে আইনটি পাস করা হয়। এ আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে মামলা হলো, হাইকোর্ট বললেন এটা সংবিধানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। কোনো দিনই সংবিধান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে নাই। সেহেতু এটা অবৈধ এবং বাতিল করে দেওয়া হলো। সেই বাতিলটাকে আইন সঙ্গত করার জন্যে সংবিধান সংসদের মধ্যে সংশোধন করা হলো। এখন ওনারা আবার সেই দাবি তুলেছেন। ওনাদের এই দাবির মানে হচ্ছে, আমরা নির্বাচন করব, কিন্তু আমাদের জিততে হবে। সবই মানি, কিন্তু তালগাছ আমার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক রিয়াজ উদ্দিন জামির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন ও পৌর মেয়র নায়ার কবির।