বিএনপির তালিকায় ৫৫ পুলিশ কর্মকর্তার নাম!
সাদাকালো নিউজ
অতি উৎসাহী এবং কর্মসূচীতে বাঁধা দানকারী ৫৫ পুলিশ কর্মকর্তার তালিকা করেছে বিএনপি। তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী এই তালিকা করা হয়েছে। তালিকায় যাদের নাম এসেছে তারা সবাই একাদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় পুলিশ সুপার হিসেবে দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তাদের মধ্যে কেউ ডিআইজি, কেউ অতিরিক্ত ডিআইজি, কেউ আবার এসপিসহ বিভিন্ন পদে কর্মরত আছেন।
এর আগে ২৩ মে দেশব্যাপী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধাদানকারী ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করতে ১৪ সদস্যের একটি ‘তথ্য সংগ্রহ কমিটি’ গঠন করে বিএনপি। এই কমিটিই অতি উৎসাহী ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করছে। বিশেষ করে যেসব পুলিশ সদস্য ওই সব ঘটনার সাথে জড়িত তাদের তথ্য চেয়ে গেল মাসের শেষ দিকে সব জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে চিঠি দেয় দলটি।
ইতোমধ্যে দেশের অধিকাংশ জেলার নেতারা তাদের প্রতিবেদন কেন্দ্রে জমা দিয়েছে। আর সেসব থেকেই পুলিশের ৫৫ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নামের একটি খসরা তালিকা করেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় সেল।
যেসব পুলিশ কর্মকর্তার নামের তালিকা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের আছেন ১১ জন। সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৮ জন। এছাড়া রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের আছেন ২৩ জন। এসব কর্মকর্তার সবাই এখন পুলিশের বিভিন্ন বড় বড় পদে কর্মরত আছেন।
তথ্য সংগ্রহ কমিটির সাথে জড়িত নেতারা বলছেন, কেন্দ্রের নির্দেশনা মোতাবেক সরকারবিরোধী আন্দোলনে বাঁধা দেয়াদের ছবি ভিডিওসহ যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। কমিটির দাবি, যেসব পুলিশ অফিসারের নাম এসেছে তারা সবাই একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোট ডাকাতির সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে জড়িত।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, পুলিশের এসব ঊর্ধতন কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের গুম, নিপিড়ন এবং গায়েবি মোকদ্দমার সাথে জড়িত বাহিনীটির আরও কিছু কর্মকর্তার নাম চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এরপর সেটি ঢাকা দূতাবাসের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহলে তুলে ধরা হবে। এর পাশাপাশি দলের আর্কাইভেও সংরক্ষণ করে রাখা হবে।
জানা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত নতুন ভিসা নীতিকে কেন্দ্র করে আগামী নির্বাচন ও চূড়ান্ত আন্দোলন সামনে রেখে পুলিশের এসব সদস্যদের চাপে রাখতেই এই কৌশল অবলম্বন করেছে বিএনপি। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলছেন, এটি বিএনপির একটি নতুন কৌশল। এর মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীর মানসিক শক্তিকে দুর্বল করার একটি ষড়যন্ত্র।