বাবু চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাত ছাত্রলীগ থেকে ব-হি-ষ্কা-র!
সাদাকালো নিউজ
ফাহিম ফয়সাল রিফাত। সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর ছেলে। সম্প্রতি রিফাতকে ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। রিফাত বকশীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
১৭ই জুন জেলা ছাত্রীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিম রাব্বি। তিনি জানান, জেলা ছাত্রলীগের বিশেষ এক সভায় রিফাতকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া তাকে স্থায়ীভাবে বাদ দেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সাংবাদিক নাদিমকাণ্ডের বিষয়টি উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই ন্যক্কারজনক ঘটনায় প্রশাসন ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে রিফাতের সংশ্লিষ্টতা জোরালোভাবে উল্লেখ হওয়ায় দলীয় ভাবমূর্তি প্রচণ্ডভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। ফলে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক পদ থেকে রিফাতকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে। একিসঙ্গে স্থায়ীভাবে কেন তাকে অব্যাহতি দেয়া হবে না, সে বিষয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে রিফাতকে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
এর আগে নাদিমের ঘটনায় রিফাতের বাবা ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ। তিনি সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার নির্দেশেই সাংবাদিক নাদিমকে শেষ করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজন ও সহকর্মীদের। পুলিশও প্রাথমিক তদন্তে এ অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে।
এদিকে ১৭ই জুন বকশীগঞ্জ থানায় নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে বাবু চেয়ারম্যানকে প্রধান ও তার ছেলে রিফাতকে ২ নম্বর আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এতে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়। একিদিন পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চর তিস্তাপাড়া গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বাবু চেয়রম্যানকে ধরে র্যাব।
সাংবাদিক গোলাম রাব্বানি নাদিম অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নিউজ ২৪.কমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। পাশাপাশি বেসরকারি চ্যানেল ৭১ টিভির বকশিগঞ্জ জেলার সংবাদ সংগ্রাহক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। উপজেলা শহরের গরুহাটি কাছারিপাড়া এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন নাদিম।
১৪ই জুন রাতে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাটহাটি মোড়ে ঘটনার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী। এ সময় তাকে ব্যাপকভাবে আঘাত করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ই জুন দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ছাড়েন।