বাগদান সারলেন পরিণীতি-রাঘব!
সাদাকালো নিউজ
বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার বড় বোন প্রিয়াঙ্কাসহ তার অধিকাংশ বন্ধুর বিয়ে হয়ে গেছে অনেক আগেই। শুধু পরিণীতির বিয়ে নিয়ে ছিলো অনেক কৌতূহল। অবশেষে বাগদানের মাধ্যমে সেটির অবসান ঘটল।
১৩ই মে পরিণীতির সঙ্গে বাগ্দান সম্পন্ন হয়েছে আম আদমি পার্টির নেতা রাঘব চাড্ডার। নয়াদিল্লির কাপুরতলা হাউসে জাঁকজমকপূর্ণভাবে আংটি বদল করেন তারা। এরপর রাত ১০টার দিকে ইনস্টাগ্রামে কয়েকটি ছবি দিয়ে বাগদানের খবর ভক্তদের জানান পরিণীতি।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, তাদের সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা বহুদিনের। কিন্তু কখনই এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি দুজনের কেউ-ই। তবে বিভিন্ন জায়গায় তাদের একসঙ্গে দেখা যায়। কখনো কোনো রেস্তোরাঁয় আবার কখনো আইপিএলের মাঠে। এর মধ্যে শোনা যায়, খুব তাড়াতাড়ি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক সিলমোহর দেবেন তারা। ধীরে ধীরে নজরে পড়তে থাকে প্রস্তুতিও।
ক‘দিন আগে দিল্লি পাড়ি দেন পরিণীতা-রাঘব। এরপর পরিবারের লোকজনও সেখানে পৌঁছাতে শুরু করেন। ১৩ই মে সকালে বিমানবন্দরে ক্যামেরাবন্দি হন প্রিয়াংকা চোপড়াও। একেবারেই ঘনিষ্ঠ মহল ও পরিবারের উপস্থিতিতে দিল্লির কনট প্লেসের কপুরথালায় আংটিবদল করেন তারা।
অনুষ্ঠান শেষে বর-বধূ দুজনেই ছবি পোস্ট করে অনুরাগীদের সঙ্গে সেই মুহূর্ত ভাগ করে নেন। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা সেই ছবিতে দেখা যায়, দুজনের পরনে সাদা পোশাক, হাতে বাগ্দানের আংটি। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে নিজেদের মধ্যেই প্রায় হারিয়ে গেছেন তারা। তাদের পোস্টে তারকা থেকে শুরু করে অনুরাগী, সবাই শুভেচ্ছায় ভাসিয়েছেন।
বাগদানের অনুষ্ঠানে প্রিয়াংকা চোপড়া একটি হলুদ রাফল শাড়ি পরে ক্যামেরাবন্দি হন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। কালো শেরওয়ানি পরে দেখা যায় মানিশ মালহোত্রাকে। বাগদান হলেও দুজনে সাতপাকে কবে ঘুরবেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
রাঘব চাড্ডার পড়াশোনা ইংল্যান্ডের লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সে। অন্যদিকে, পরিণীতিও ইংল্যান্ডের ম্যাঞ্চেস্টার বিজনেস স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। যশরাজ ফিল্মসে মার্কেটিংয়ের কাজ করতে করতে ২০১১ সালে সিনেমার পর্দায় অভিষেক পরিণীতির। বিদেশের মাটিতেই বন্ধুত্বের সূত্রপাত রাঘব ও পরিণীতির। দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্ব থেকেই প্রেমের সূত্রপাত তাদের।
রাঘব চাড্ডা পাঞ্জাবের রাজ্যসভার সংসদ সদস্য। এর আগে তিনি দিল্লির রাজেন্দ্রনগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। ২০১১ সালে সমাজকর্মী আন্না হাজারের নেতৃত্বে দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন রাঘব।
সাধারণ জীবনযাপন করতেই পছন্দ করেন তরুণ এই রাজনীতিক। ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্যে, রাঘবের মোট সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ৫০ লাখ রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা। যা পরিণীতির মোট সম্পত্তির ১ ভাগের চেয়েও কম।