বাংলাদেশে মূদ্রাস্ফীতি তুলনামূলক কম: প্রধানমন্ত্রী
সাদাকালো নিউজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজকে করোনাভাইরাস ও ইউক্রেনের যুদ্ধের পর পৃথিবীতে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। ইউরোপসহ উন্নত দেশগুলোতে মূদ্রাস্ফীতি বাড়ছে। সেখানে বাংলাদেশে মূদ্রাস্ফীতি তুলনামূলক কম। আমরা পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’
সোমবার (১ আগস্ট) কৃষকলীগের স্বেচ্ছায় রক্ত ও প্লাজমাদান কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি রক্তদানে সক্ষম ব্যক্তিদের রক্ত দেওয়া আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই প্রত্যেকটি পরিবার যেন সুখি পরিবার হয়। আমরা শিক্ষা থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছি। সাধারণ মানুষের জন্য সব রকম ব্যবস্থা নিচ্ছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে সারা পৃথিবী জ্বালানি সাশ্রয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি। এর অর্থ এই নয় যে লুটপাট হবে। লুটপাট তো বিএনপি করেছে। আমরা সেটা করিনি। আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছি। লুটপাট করলে বাড়াতে পারতাম না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির আমলে মানুষ ভোট দিতে পারিনি। তাদের দলীয় সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ব্যালট ছিনিয়ে নেয়। বিএনপির সন্ত্রাসীরা সিল মারবে, বাক্স ভরবে- এটাই ছিল নীতি। বিএনপির আমলে মানুষের ভোটের অধিকার ছিল না। তাদের কাছ থেকেও কথা শুনতে হয়। নির্বাচনের কথা তারা বলে কোন মুখে? প্রকৃত গণতন্ত্র থাকলে দেশ কত এগিয়ে যায়, বাংলাদেশ আজ তার উদাহরণ। আওয়ামী লীগ এর বাস্তবায়ন করেছে।’
বিএনপির ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে তারা ক্ষমতায় এসে মানুষের জন্য কী করেছে। বরং ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ যেসব উদ্যোগ নিয়েছিল, পরে ২০০১ সালে তারা ক্ষমতায় গিয়ে দেশকে পিছিয়ে দেয়। বিএনপি ক্ষমতায় এসে দেশকে পরনির্ভরশীল করে তোলে। দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয় দেশ। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, খুন-খারাবিতে ভরে যায়। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি। শিক্ষার্থীদের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করে তারা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেখলাম বিএনপির নেতারা হারিকেন নিয়ে আন্দোলন করছে। তাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিতে হবে। আর আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করবো।’