ফ্রি ফায়ার খেলতে গিয়ে প্রেম! ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে তরুণী!
সাদাকালো নিউজ
ফ্রি ফায়ার গেম খেলতে খেলতে প্রেম। তাও আবার দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক। সেই প্রেমের টানে বাংলাদেশেও আসে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাথী সরকার। বিয়ে করে ঘরও বাধে। কিন্তু সেই ঘর আর করা হয়নি তাঁর। ফিরে যেতে হয়েছে নিজ দেশে বাবা-মায়ের কাছে।
জানা যায়, অনলাইনে গেম খেলতে গিয়ে বছর দুয়েক আগে বাংলাদেশের যুবক ওমর আলীর সঙ্গে পরিচয় হয় সাথীর। সেই পরিচয় ধীরে ধীরে গাঢ় হতে থাকে। এরপর সেখান থেকে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় দুজনের।
দালালের মাধ্যমে সাতক্ষীরার সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসা সাথীর বাড়ি, ভারতের নদীয়া জেলার তাহেরপুর থানার রাধাকান্ত পুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম পরিতোষ সরকার। প্রেমিক ওমর আলীর বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার কুমারগাড়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আব্দুল আলীম। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ওমরের সঙ্গে ঘরও বাঁধে সাথী।
২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর হঠাৎ করেই বাড়ি থেকে উধাও হয় সাথী। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাঁর স্বজনরা জানতে পারে সাথী বাংলাদেশে এসেছে। এরপর সাথীর বাবা মেয়েকে উদ্ধারের জন্য স্থানীয় তাহেরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
বিষয়টি আমলে নেয় বাংলাদেশে ভারতীয় দুতাবাস। তিন-চার মাস সংসার করার পর অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে হঠাৎ একদিন সাথীকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। তারপর সাথীর জায়গা হয় কুষ্টিয়া জেলার নারী পুর্নবাসন কেন্দ্রে। সেখানে ১১ মাস ছিল সাথী।
৪ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্টে পতাকা বৈঠক বসে। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে সাথীকে ফেরত পাঠানো হয় ভারতে। যাওয়ার আগে সাথী জানান, আমার সমস্ত হৃদয় জুড়ে আছে স্বামী ওমর। বাবা-মা অভিযোগ করেছে এজন্য ফিরে যাচ্ছি। যদি আবার কখনও আসতে পারি তাহলে অবশ্যই সংসার করবো।
সাথীর বাবা পরিতোষ সরকার বলেন, ‘আমি কৃষক। আমার এক ছেলে এক মেয়ে। সাথী আমার মেয়ে তাহেরপুরের বেশপুর হাইস্কুলে ১১ ক্লাসে পড়তো । কম্পিউটার ক্লাসে এসে উধাও হয়ে যায়। পরে জানতে পারি বাংলাদেশের একটি ছেলের সঙ্গে প্রেম করে পালিয়ে গেছে। তারপর থানার দ্বারস্থ হই।’ এদিকে স্বামী ওমর আলী স্ত্রীকে ফিরে পেতে নিজ জেলার জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছিলো বলে জানা গেলেও তাঁর সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য জানা সম্ভব হয়নি।