ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন প্রীতি
সাদাকালো নিউজ
২২ বছরের এক টগবগে তরুণী সামিয়া আফনান জামাল প্রীতি। তাঁর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে বলে তথ্য মিলেছে। তবে সেখানে যাতায়াত ছিল কম। বাবার চাকরিসূত্রে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন ঢাকায়।
পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে প্রীতি নিজে চাকরির চেষ্টা করছিল৷ ১৫ হাজার টাকায় একটা অফিসে কাজও নিয়েছিল। তবে ভালো না লাগায় মাস দেড়েক পরে সেটা ছেড়ে দেন। সামনের মাসে আরেকটা নতুন কাজে যোগ দেয়ার কথা ছিল প্রীতির। কিন্তু সেটা আর হলো না।
প্রীতির এক খালা জানান, পোষা প্রাণীর প্রতি বিশেষ দরদ ছিল তাঁর ভাগ্নির। ঘরে একটি পোষা বিড়াল আছে প্রীতির। প্রতিদিন নিয়ম করে প্রাণীতির যত্ন নিতেন তিনি। বিড়ালটিও ছিল প্রীতির খুব ভক্ত। সারাক্ষণ পায়ে পায়ে ঘুরত। কখনও বাড়ির বাইরে থাকলে ভিডিওকলে বিড়ালকে দেখতেন প্রীতি।
প্রীতির খালা আরও জানান, বয়সের ব্যবধান থাকলেও ভাগ্নির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল বন্ধুর মত। মন খারাপ থাকলে তারা একসঙ্গে ঘুরে বেড়াতেন। শাড়ি পরতে ভালোবাসতেন প্রীতি। তাই ঘরতে বেরুলে শাড়ি পরতেন দুজনে। কোনো কারণে কষ্ট পেলে তাকেই ফোন দিতেন প্রীতি।
প্রীতির খালার মতে, ফ্যাশন সচেতন ছিলেন তাঁর ভাগ্নী। অনেক সুন্দর ছবি আঁকতে পারতেন এই তরুণী। ভবিষ্যতে ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন প্রীতি। কিন্তু সেই স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল। অকালে ঝরে গেছে প্রীতির প্রাণ!