বিধ্বস্ত ভবনের নিচে বাঁচাও বাঁচাও আর্তনাদ
সাদাকালো নিউজ
তুরস্কের গাজিয়ানতেপ থেকে সিরিয়ার আলেপ্পো-দুদিন আগেও চোখ ঝলসে উঠত শহরগুলোর সৌন্দর্যে। আজ জল আসে। সারাদিনের হৈ-হুল্লোড়, আনন্দ-উল্লাসে উৎফুল্ল থাকত ভবনগুলো, আজ সেখানে কান্নার রোল। বাতাসে ফোঁপানির সুর।
এক সময় যারা হেসে-খেলে বেড়িয়েছেন ভবনগুলোর তলায় তলায়, সেই তারাই এখন চাপা পড়ে আছেন ধ্বংসস্তূপের অতলে। ইট সরালেই বেরিয়ে আসছে নিথর দেহ। শোনা যাচ্ছে বেঁচে থাকার গোঙানি। বাঁচাও বাঁচাও আর্তনাদ। সোমবার ভোররাতের মাত্র এক মিনিটের ভূমিকম্পে বদলে গেছে সব।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবর বলছে, ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে শত শত মানুষ। ধ্বংসস্তূপ ভেদ করে ‘বাঁচাও বাঁচা’ চিৎকার শোনা গেলেও উদ্ধারকর্মীরা বাঁচাতে পারছে না তাদের। এমনকি অবস্থানও শনাক্ত করা যাচ্ছে না আটকে পড়াদের অনেকের।
ইস্তাম্বুলের সাংবাদিক হাসকোলোগলু বিবিসিকে বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে শত শত পরিবার। আটকে পড়ারা তাকেসহ অন্য সাংবাদিকদের তাদের অবস্থান, ভিডিও এবং অডিও বার্তা পাঠাচ্ছে। দুর্যোগ থেকে বাঁচতে তাদের আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন।
দক্ষিণ তুরস্কের উসমানীয় শহর থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত স্কাই নিউজের সংবাদদাতা জন স্পার্কস উদ্ধার প্রচেষ্টার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ডাই নামে জরুরি উদ্ধার প্রকল্পের একটি দল ধ্বংসস্তূপের নিচে ১৫ জনের অবস্থান শনাক্ত সত্ত্বেও উদ্ধারে ব্যর্থ হয়েছে।
স্পার্কস জানায়, রাস্তায় সজল চোখে অপেক্ষা করছিল আটকে পড়াদের স্বজনরা। পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আটকে পড়াদের হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায় ধ্বংসস্তূপের নিচে বেঁচে থাকা কঠিন। ভূমিকম্পে ভয়াবতার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে হৃদয়বিদারক দৃশ্যও। এরই মধ্যে সিরিয়ার আলেপ্পোতে ধ্বংসস্তূপের নিচেই জন্ম নিয়েছে এক শিশু। তবে জন্মের পরপরই মারা যায় শিশুটির মা। নবজাতক উদ্ধারের ভিডিও প্রকাশ করা হয় তালহা সিএইচ নামের একটি টুইটার অ্যাকাউন্টে।