৯৩ বছর বয়সে চতুর্থ বিয়ে করলেন চন্দ্রজয়ী বাজ অলড্রিন!
সাদাকালো নিউজ
প্রথম চাঁদে যাওয়া নভোচারীর কথা বললে যে তিনজনের নাম ভেসে ওঠে, তাঁরা হলেন নিল আর্মস্ট্রং, বাজ অলড্রিন ও মাইকেল কলিন্স। এদের মধ্যে ২০১২ সালে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান নিল আর্মস্ট্রং। ২০২১ সালে পরপারে পাড়ি দেন মাইকেল কলিন্স। বেঁচে আছেন শুধু বাজ অলড্রিন।
৯৩তম জন্মবার্ষিকীতে এসে নতুন সংবাদ দিয়েছেন বাজ অলড্রিন। জানিয়েছেন আবারও বিয়ে করেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে স্ত্রীর সঙ্গে নিজের ছবিও শেয়ার করেছেন অলড্রিন।
টুইটারে অলড্রিন তার বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে লেখেন, আমার ৯৩তম জন্মদিনে দীর্ঘদিনের প্রেমিকা আনকা ফাউরের সাথে বিয়ে করলাম। ছোট পারিবারিক অনুষ্ঠান ছিল লস এঞ্জেলসে। নিজেকে একজন তরুণ বয়সীর মতো উত্তেজিত লাগছে।
বাজ অলড্রিন এর আগে তিনবার বিয়ে করেছেন। ১৯৫৪ সালে তিনি প্রথম বিয়ে করেন জোয়ান আন নামের এক নারীকে। এই সংসারে জেমস, জেনিস ও এন্ড্রু নামে তিনটি সন্তান আছে। বিয়ের ২০ বছর পর তাঁদের বিচ্ছেদ হয়।
এরপর ১৯৭৫ সালে অলড্রিন দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম বেভারলি ভ্যান জিল। তিন বছর একসঙ্গে থাকার পর বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। ১৯৮৮ সালে তৃতীয় বিয়ে করেন অলড্রিন। লোইস ড্রিগস ক্যানন নামের ওই নারীর সঙ্গে ২০১২ সাল পর্যন্ত ছিলেন তিনি।
চাঁদে পা রাখা বাজ অলড্রিন ৯৩তম জন্মদিনটা চতুর্থ বিয়ে করে উদযাপন করেছেন। তার স্ত্রী আনকা পড়াশোনা করেছেন কেমিক্যাল প্রকৌশলে। এ বিষয়ে পিএইচডি করেছেন তিনি। বাজ অলড্রিনের প্রতিষ্ঠান বাজ অলড্রিন ভেঞ্চার্সের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন আনকা।
নতুন বিয়ে করে বেশ উদ্দীপ্ত বাজ অলড্রিন। জানিয়েছেন, কিশোর-কিশোরীরা পালিয়ে বিয়ে করলে যেমনটা উদ্দীপ্ত থাকে। তেমনটাই উদ্দীপ্ত আমি এবং আমার স্ত্রী। বিয়ের কথাটি ঘোষণা করতে পেরে আমি আনন্দিত।
১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই নিল আর্মস্ট্রংএর সাথে চাঁদে পাড়ি দিয়েছিলেন বাজ অলড্রিন। এতে মিশন কমান্ডার ছিলেন নিল। আর অলড্রিন ছিলেন মহাকাশযান অ্যাপোলোর লুনার মডিউল পাইলট।
চন্দ্রজয়ের পর মাত্র একরাতের মধ্যে পৃথিবী বিখ্যাতদের একজন হয়ে ওঠেন বাজ অলড্রিন। ২০০১ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি কখনোই এটা চিন্তা করিনি চন্দ্র অভিযানের পর কী হবে। আমি লোকের চোখে এত জনপ্রিয়তার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। এ ধরণের জনপ্রিয় হওয়ার কোনো আগ্রহও আমার ছিলো না।’
চন্দ্র অভিযানের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীতে যুদ্ধবিমানের পাইলট হিসেবে কাজ করতেন অলড্রিন। কোরিয়া সংঘাতের সময় বেশি কয়েকটি সামরিক মিশনেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি।