প্রথা মেনে জওয়ানদের সঙ্গে মোদী মাতবেন আলোর উৎসবে
সাদাকালো নিউজ
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই প্রতিবছর দিওয়ালিতে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে কাটান প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই প্রথা মেনেই ২০২২ সালেও জওয়ানদের সঙ্গে দিওয়ালি পালন করতে কার্গিল পৌঁছে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে আজ সকালেই টুইট করে দেসবাসীকে দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানান নরেন্দ্র মোদী।
টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘সকলকে দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আলোর সঙ্গে জড়িয়ে দিওয়ালি। এই শুভ উৎসব আমাদের জীবনে আনন্দ ও মঙ্গলের চেতনাকে আরও বাড়িয়ে তুলুক। পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দের সঙ্গে দিওয়াবলি কাটান, এই কামনা করি।’ পরে অপর এক টুইট বার্তায় পিএমও-র তরফে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী কার্গিল পৌঁছেছেন। সেখানে তিনি আমাদের বীর জওয়ানদের সঙ্গে দিওয়ালি পালন করবেন।
এর আগে গতকাল অযোধ্যায় পোৎসবে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে অস্থায়ী রামমন্দিরে যান মোদী। রামলালার কাছে প্রার্থনা নিবেদন করেন তিনি। মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতি করেন তিনি। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য্য সত্যেন্দ্র দাস তাঁর কপালে সিঁদুরের প্রলেপ দেন। মন্দির চত্বরে একটি দান বাক্সে তিনি প্রণামীও দেন।
এদিকে বিগত আটবছর ধরেই দিওয়ালির দিন সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে কাটিয়েছেন মোদী। ২০১৪ সালে মোদী গিয়েছিলেন সিয়াচেনে। এরপর ২০১৫ সালে পঞ্জাবের সীমান্তে গিয়ে ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের তিনটি সৌধে সম্মান জ্ঞাপন করেছিলেন মোদী। ২০১৬ সালে হিমাচলের চিন সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে সময় কাটান মোদী। সেখানে আইটিবিপি জওয়ানদের সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপন করেন তিনি। এরপর ২০১৭ সালে উত্তর কাশ্মীরের গুরেজ সেক্টরে গিয়েছিলেন মোদী। ২০১৮ সালে মোদী যান উত্তরাখণ্ডের হরসিল সীমান্তে। ২০১৯ সালে মোদী গিয়েছিলেন কাশ্মীরের রাজৌরি এবং ২০২০ সালে তিনি গিয়েছিলেন রাজস্থানের লঙ্গেওয়ালা সীমান্তে। গতবছর মোদী গিয়েছিলেন কাশ্মীরের নৌশেরায়।