পুলিশের হাতে এরশাদ শিকদারের মেয়ের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট !
রাজধানীর শাহজাদপুরের এই সুবাস্তু টাওয়ারের ৯/২/সি ফ্ল্যাটে মায়ের সঙ্গে থাকতেন এরশাদ শিকদারের মেয়ে জান্নাতুল নওরীন এশা। গত ৪ঠা মার্চ ভোরে এই ভবনেই নিজেই নিজেকে শেষ করে দেন তিনি। সেই এশার ঘটনার চার্জশিট শিগগির জমা দেবেন গুলশান থানা পুলিশ।
পুলিশের ভাষ্য, এশার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত প্লাবন ঘোষ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। প্লাবন ঘোষের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এশার। সেই প্রেম থেকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে প্লাবন তা প্রত্যাখ্যান করে। এরপরি এশা প্লাবন ঘোষকে ভিডিও কলে রেখে নিজেই নিজেকে শেষ করে দেন।
গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান জানান, এশার বাসা থেকে উদ্ধার করা মোবাইল ফোন ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। এরপরি নিশ্চিত হওয়া গেছে এ ঘটনায় প্লাবনের প্ররোচনা রয়েছে। এশার ময়নাতদন্তের রিপোর্টও হাতে পেয়েছে পুলিশ। রিপোর্টে এশার দুই হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে এশা নিজেই নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা আলামতের সিআইডির পর্যবেক্ষণের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
এছাড়া এশা ও প্লাবনের ডিএনএ নমুনা সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টও এই ঘটনার একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এসব রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ। রিপোর্ট হাতে পেলেই প্ররোচনার অভিযোগ এনে চার্জশিট দাখিল করা হবে।
এদিকে এশার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থেকেই পলাতক প্লাবন ঘোষ। এশার মা সানজিদা আক্তার শোভা দাবি করেছেন, বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিকের ছেলে প্লাবন ঘোষ। প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর সন্তান হওয়ায় ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে ধরেনি পুরশি। গড়িমসির কারণে আদালত থেকে জামিন নিয়ে সে এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে।
জানা গেছে, ঘটনার ৮ মাস আগে প্লাবনের সঙ্গে এশার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্লাবন হিন্দু ধর্মের হওয়ায় দুই পরিবারের কেউই তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। এজন্য বিয়েও হয়নি। এসব নিয়ে প্লাবনের সঙ্গে প্রায়ই এশার ঝগড়া হতো।
ঘটনার দিনও এশার সঙ্গে প্লাবনের ঝগড়া হয়। এ কারণে এশা তাঁর দুই হাতে আঘাত করে প্রেমিককে ভিডিও কল দেয়। তাতেও প্লাবন বিয়েতে রাজি না হয়ে উল্টো বিবাদে জড়ায়। একপর্যায়ে তাঁকে ভিডিওকলে রেখেই নিজেকে শেষ করে দেন এশা।
সাদাকালো নিউজ