পুলিশের এডিসি ও তার সাবেক দেহরক্ষীর মৃত্যু, রহস্য কী?
সাদাকালো নিউজ
মাত্র কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে মাগুরায় দুই পুলিশ সদস্য নিজেই নিজেদের শেষ করে দিয়েছেন। একজন খুলনা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার লাবণী আক্তার, আরেকজন মাগুরা পুলিশ লাইনের কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান। ঠিক কি কারণে তাঁরা না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
জানা গেছে, কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান দেড় মাস আগে মাগুরায় বদলি হন। এর আগে তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি লাবণী আক্তারের দেহরক্ষী ছিলেন। এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, দুটি ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা?
পুলিশ বলছে, লাবনী এবং তারই সাবেক দেহরক্ষীর শেষ হয়ে যাওয়ার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। এ ঘটনায় কারো বা কোনো ধরনের প্ররোচনা আছে কি না সেটাও অনুসন্ধান করছে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষ না হওয়ায় এখনো তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়নি। একসঙ্গে দুইজনের প্রয়াণে কোনো যোগসূত্রতা আছে কি না তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
পুলিশের সূত্র দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, ২০ জুলাই মাগুড়ার শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামে নানার বাড়িতে এডিসি লাবণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন রাতের কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটে। সকালে দরজা ভেঙে পরিবারের সদস্যরা প্রথম তাঁকে এমন অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে লাবণীর দেহ মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান তিনি আর নেই।