পুত্রের স্বীকৃতি দিতে নারাজ নওয়াজউদ্দিন
সাদাকালো নিউজ
ভালোবেসে আলিয়া সিদ্দিকীকে বিয়ে করেন বলিউড অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। এ দম্পতির এক কন্যা ও এক পুত্রসন্তান রয়েছে। কিন্তু তাদের দাম্পত্য কলহ চরমে পৌঁছেছে। পুত্রসন্তানের স্বীকৃতি দিতে নারাজ নওয়াজউদ্দিন। এজন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আলিয়া সিদ্দিকী।
হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এর আগে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর মা অভিযোগ করেছিলেন আলিয়ার দ্বিতীয় সন্তান নওয়াজউদ্দিনের বায়োলজিক্যাল পুত্র নয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন জানিয়েছেন আলিয়া। এর আগেও আলিয়ার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি ডিএনএ টেস্টের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। যদিও তা প্রত্যাহার করে নেন; এবার পারিবারিক আদালতে আপিল করলেন আলিয়া।
এদিকে আলিয়া সিদ্দিকী ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে দাম্পত্য জীবনের নানা বিষয় শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে আলিয়া জানান, ২০০৪ সালে নওয়াজের সঙ্গে তার প্রথম পরিচয়। সেইসময় লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন তারা। মুম্বাইয়ের একতা নগরে এক কামরার বাড়িতে থাকতেন আলিয়া-নওয়াজ ও তার ভাই শামসুদ্দিন।
বিয়ের বিষয়টি উল্লেখ করে আলিয়া সিদ্দিকী বলেন, ‘২০১০ সালে আমরা বিয়ে করি। পরের বছর আমি সন্তানের জন্ম দিই। প্রসব সংক্রান্ত খরচের জন্য আমার মায়ের দেওয়া ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিই, অবশিষ্ট টাকা দিয়ে নওয়াজকে একটা গাড়ি কিনে দিয়েছিলাম। এতগুলো বছর পর ওই মানুষটা বদলে গেছে, পুরোপুরি অমানুষে পরিণত হয়েছে। যদিও কখনো সে ভালো মানুষ ছিল না।’
এসব তথ্য উল্লেখ করে আলিয়া বলেন, ‘নওয়াজের দাবি অনুযায়ী, আমি যখন ওর স্ত্রী ছিলাম, তখনো ও আমাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। এই অভিযোগগুলো খুব খারাপ এবং অসম্মানজনক। আমার এসব কথা বলার কারণ একটাই, মানুষটা এত নিচে নেমে গিয়েছে, তার আসল রূপ দেখাতে চাই। প্রতারক যেকোনো ধর্মের মানুষই হতে পারেন, যার বেড়ে ওঠার সময় সঠিক শিক্ষা দেওয়া হয়, সে কখনো এভাবে প্রতারণা করবে না। তাই সবাইকে অনুরোধ ধর্ম দিয়ে মানুষ বিচার করবেন না।’