পারপিতার চলে যাওয়ার নেপথ্যে আরও যা জানা গেল
সাদাকালো নিউজ
রাজধানীর হলিক্রস স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী পারপিতা ফাইহা পরীক্ষায় ফেল করে হতাশায় ভুগছিলেন। ফেলের বিষয়টি বাবার কাছে জানানো নিয়ে ভয়ে ছিলেন তিনি। এছাড়া তার মধ্যে নিজেকে শেষ করে দেয়ার প্রবণতা ছিল। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের জমা দেয়া তদন্ত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে একি ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, কঠিন প্রশ্নপত্র তৈরি করে শিক্ষার্থীদের মনে ভয় ঢুকিয়ে পরোক্ষভাবে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করা হতো। তবে ঢাকা বোর্ডের তদন্ত কমিটি বলছে, অভিযুক্ত উচ্চতর গণিতের শিক্ষক শোভন রোজারিওর বিরুদ্ধে প্রাইভেটে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করানোর বিষয়টি প্রমাণিত নয়। তবে তিনি বিদ্যালয়ের নির্দেশনা না মেনে নিজ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের প্রাইভেট–কোচিং করান। আরও কয়েকটি বিষয়ে ডিআইএর তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্যের সঙ্গে ঢাকা বোর্ডের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের কিছু পার্থক্য রয়েছে।
গত ২৩ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশন এলাকায় একটি বহুতল ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে নিজেকে শেষ করে দেয় পারপিতা। পরে তাঁর স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে পরীক্ষায় মেয়েটিকে অকৃতকার্য করানোর অভিযোগ উঠলে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ড পৃথকভাবে তদন্তে নামে।
তদন্ত কমিটি বলছে, নিজ প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করা বিষয়ের কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট-কোচিং না করানোর বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষক শোভন রোজারিওর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়।
প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়ে তদন্ত কমিটিকে অভিযুক্ত শিক্ষক শোভন রোজারিও বলেন, ‘খেয়েপরে ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রাইভেট-কোচিং করাই। নবম শ্রেণির সাতজন শিক্ষার্থী আমার কাছে প্রাইভেট পড়ে।’ তিনি দাবি করেছেন, কোনো ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়তে তিনি চাপ বা প্ররোচিত করেননি।