পরীমণি ইস্যুতে রাজ কি হু-ম-কি পেয়েছেন ? কোন ‘গডফাদারদের’ দেখতে চাইলেন তিনি ?
সাদাকালো নিউজ
ঢাকাই সিনেমার তারকা দম্পতি পরীমণি-শরিফুল রাজ দুজনার এখন দুটি পথ। এক বছরের ব্যবধানে প্রেম, বিয়ে সন্তান এবং বিচ্ছেদও দেখে ফেলেছেন তারা। বাকি আছে শুধু আনুষ্ঠানিকতা।
এতদিন নিজেদের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে জনসম্মুখে কথা বলেছেন পরীমণি। তার ফেসবুকের দেয়াল হয়ে সেসব কথা গেছে সাধারণের কানেও। তবে নিরব ভূমিকা পালন করেছিলেন রাজ। সবশেষ পরীমণির অভিযোগ ও ঘর ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণার পর আর চুপ করে থাকতে পারেননি। ভাঙলেন নিরবতা। তার সেসব কথায় আছে ক্ষোভ, আছে হতাশাও।
দোশরা জানুয়ারি গণমাধ্যমকে রাজ বলেন, ‘মাই বেডরুম ইজ প্রাইভেট, ভেরি প্রাইভেট। নট ফর পাবলিক। বাট আমার বেডরুম নিয়ে সবাই মজা নিচ্ছে এখন। পরী এখন যা করছে বা তার যা মন চায় করুক। তবে এটুকু স্পষ্ট করি, আমি কোনও ভুল করিনি। এবং আমাদের আর এক হওয়া হবে না।’
সে কথার পর সম্ভবত পরীর কাছ থেকে ভালো জবাব পাননি রাজ। আর সে কারণেই হয়তো তেশরা জানুয়ারি ভোর ৪টা ৪৮ মিনিটের দিকে রাজ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, ‘হ্যালো গডফাদারস অ্যান্ড গং। আই ওয়ান্ট টু নো ইউ গাইজ। আই লিভ ইন ঢাকা, আই উড লাভ টু চিয়ার্স।’
রাজের এমন পোস্টের অর্থ কী? তাদের ঘটনার নেপথ্যে কী কোনো গডফাদার আছে? নাকি কোনো গডফাদারের হুমকি পেয়েছেন বা পাচ্ছেন রাজ? অবশ্য শোবিজ জগতে এমন ঘটনা নিত্যই ঘটে। অভিনেতা সালমান শাহের চলে যাওয়ার পেছনেও কোনো গডফাদারের হাত রয়েছে বলে এখনও অনেকেই মনে করেন। তবে রাজের ভাষ্য, সেই গডফাদারকে সরাসরি দেখে নিতে চান তিনি।
২০২১ সালে ‘গুণিন’ ছবির শুটিংয়ের সময় প্রেমের সম্পর্কে জড়ান পরী-রাজ। মাত্র সাতদিনের পরিচয়ে গোপনে বিয়ে সারেন তারা। এর আগে পরীমণি একাধিকবার বিয়ে করলেও এটি ছিল রাজের প্রথম বিয়ে। ১০ আগস্ট রাজ-পরীর সংসারে আসে পুত্রসন্তান রাজ্য।
বিগত সময়গুলোতে রাজ-পরীর দাম্পত্যকলহের নানা তথ্য সামনে এলেও বিয়েবিচ্ছেদ নিয়ে তেমন কোনো ইঙ্গিত ছিল না। তবে ৩০ ডিসেম্বর রাত থেকে তাদের সংসার ভাঙার খবর ছড়াতে থাকে।
নতুন বছরের প্রথম দিনের প্রথম প্রহরে রক্তমাখা দুটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দেন পরীমণি। একিদিন বিকেলে নতুন স্ট্যাটাসে রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন।