নেপাল-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন গিরিধর দে
সাদাকালো নিউজ
স্বেচ্ছাশ্রমে নিজ উদ্যোগ ও অর্থায়নে দেশ ও জাতির কল্যাণে দেশব্যাপী ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করার স্বীকৃতিস্বরুপ ‘নেপাল-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’ পুরস্কার পেলেন ফরিদপুরের গিরিধর দে।
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রিক প্ল্যাল্টফর্ম ও সংগ্রহশালা ‘বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র’ নামক একটি প্ল্যাল্টফর্ম প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার মাধ্যমে দেশব্যাপী ইতিহাস, সংস্কৃতি সম্পর্কৃত ছড়িয়ে থাকা দুষ্প্রাপ্য দলিলাদি সংগ্রহ, চর্চা, গবেষণা, প্রচার, তথ্যবিকৃতিরোধ ও ডিজিটালভাবে সংরক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য এই পুরস্কার পান তিনি।
শুক্রবার (১২ মে ) নেপাল-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ সোসাইটি ও সাউথ এশিয়া বিজনেস পার্টনারশীপ-এর প্রয়াসে নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডু শহরের হোটেল থামেল পার্ক-এর অডিটোরিয়ামে পুরস্কার বিতরণীর এই জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন নেপালের সংস্কৃতি, পর্যটন ও বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী সুদান কেরাতি। এসময় গিরিধর দে-এর হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি।
সাউথ এশিয়া বিজনেস পার্টনারশিপ- এর পরিচালক মো. গোলাম ফারুক মজনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রী মোহন বাহাদুর বাসনেত।
অন্যান্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন নেপাল ঔষধি লিমিটেডের চেয়ারম্যান যজ্ঞ প্রসাদ নেউপানে, সাবেক জলসরবরাহ মন্ত্রী উমাকান্ত চৌধুরী, নেপালি কংগ্রেসের সাধারণ কমিটির সদস্য সুরেশ শ্রেষ্ঠ, নেপাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ডাঃ ভরত থাপা, নেপাল স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি নাইনসিং মাহার, এএনএইচসিআরডব্লিউইউ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তি দাহাল, পরিচালক ও উপদেষ্টা, নেপাল-বাংলাদেশ ব্যাংক লিমিটেড রেক্টর মো. মোখলেছুর রহমান।
পুরস্কার বিতরণকালে গিরিধর দে-এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ ও প্রসংশনীয় কাজের নানা প্রসংশা প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা।
গিরিধর দে একজন সমাজকর্মী ও তরুণ গবেষক। দেশব্যাপী বাংলার আবহমান ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংগ্রাম, সংস্কৃতি, প্রত্মতাত্ত্বিক নিদর্শণের ঐতিহাসিক দলিলাদি সংগ্রহ, চর্চা, গবেষণা, প্রচার, তথ্যবিকৃতিরোধ ও ডিজিটালভাবে সংরক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজও করেন তিনি। তার প্রতিষ্ঠিত প্ল্যাল্টফর্ম ‘বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র’ এখন সাড়া দেশে তুমুল আলোচিত। শুধুমাত্র অনলাইনেই ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। প্রতি সপ্তাহে তাদের রিচ/পাঠক সংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি । ঐতিহাসিক দলিলাদি সংগ্রহ ও তথ্যবিকৃতিরোধ ২০১৬ সালে এর যাত্রা। ৬ বছরে যার সংগ্রহ সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। ভবিষ্যতে ডিজিটাল মিউজিয়াম করতে চান তারা ।
গিরিধর দে-এর জন্ম ২ ডিসেম্বর ১৯৯৫ সালের ফরিদপুর জেলার এক উচ্চবংশীয় পরিবারে । পিতা সুধীর কুমার দে ও মা রিনা রানী দে। গিরিধরের শৈশব গ্রামেই কেটেছে। তিনি চাঁদহাট বাজার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও মুকসুদপুর কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর থেকে অতি সম্প্রতি হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে সম্পন্ন করেছেন। তিনি ‘বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ।
দেশব্যাপী ভিন্নধর্মী উদ্যোগ ও দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ সহ নানাসময়ে নানা পদকে ভূষিত হয়েছেন।