নেটফ্লিক্স নির্মাতাদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ অভিনেত্রীর
সাদাকালো নিউজ
ভারতের সিনেমা ও টেলিভিশনের প্রখ্যাত পরিচালক রামানন্দ সাগরের নাতনি সাক্ষী চোপড়া খোলামেলা ছবির কারণে অনেক বিতর্কে জড়িয়েছেন। টিভি ইতিহাসের অন্যতম সফল ধারাবাহিক রামায়ণের স্রষ্টা, রচয়িতা ও পরিচালক ছিলেন রামানন্দ। তার নাতনি মিনাক্ষী সাগরের কন্যা সাক্ষীর খোলেমালা, ‘অর্ধনগ্ন’ পোশাকের ছবি নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি।
নেটফ্লিক্সের শো ‘সোশ্যাল কারেন্সি’র প্রতিযোগী ছিলেন সাক্ষী। এবার নির্মাতাদের বিরুদ্ধে তুললেন যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। সঙ্গে চুক্তিতে স্বাক্ষর করার আগে তাকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ আনেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি লম্বা পোস্ট করেছেন এই মডেল। যেখানে লেখা হয়েছে কীভাবে ‘সোশ্যাল কারেন্সি’র নির্মাতারা তাকে বাধ্য করছে বিভিন্ন ‘যৌন কাজ করতে’। এসবের মধ্যে গোয়ায় নাইট ক্লাবে অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে নাচতে বাধ্য করা, অপরিচিতকে দিয়ে পিঠ চুলকানো এবং রাস্তায় দাঁড়িয়ে অর্গাজমের মতো আওয়াজ করা।
তিনি লেখেন, ‘যেহেতু আমি আমার পোশাক ও চিন্তাভাবনা নিয়ে বোল্ড, ওরা ভেবে নিয়েছে আমাকে দিয়ে এসব নোংরা কাজ করানো যাবে। চুক্তিতে স্বাক্ষর করার আগেই বলেছিলাম দিনে একবার আমার মায়ের ফোন চাই, কারণ ওকে ছাড়া থাকতে পারব না। ওরা মেনে নেয়, আর আমি শোতে যাওয়ার পর সেগুলো ইগনোর করতে থাকে। মৃদুল সবার সামনে আমার স্তন, আমার পশ্চাৎদেশ নিয়ে মন্তব্য করেছে, আর সেটা রেকর্ড করে সবার সামনে প্লেও করেছে। আমার থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার আশায়। একটু টিআরপির জন্য। আমাকে আবার আশ্বস্ত করা হয়েছে এটা নিছকই একটা গেম শো! এসব কী?’
সাক্ষী জানিয়েছেন, তাকে তার মায়ের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। আর একবার যখন সুযোগ পেয়ে মাকে শোতে হওয়া যৌন হেনস্থার ঘটনা জানানোর চেষ্টা করেন, তখন তার ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
তিনি লেখেন, ‘আমাকে মায়ের সঙ্গে কথাই বলতে দেওয়া হয়নি। ওরা আমার আর মায়ের প্রতিটা ফোনকল, মেসেজে নজর রাখত। একদিন যখন মাকে বলার চেষ্টা করি যৌন নির্যাতন নিয়ে, আমার ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এরপর ওরা আমায় আর কল করতে দেয়নি। শুধু মাকে এইটুকু বলতে পেরেছিলাম, আমাকে এই শো থেকে বের করে নিয়ে যাও যে করেই হোক।’
সাক্ষী নিজের বক্তব্যের শেষে লেখেন, ‘এরকম ননসেন্স শোতে আর কোনোদিন আসব না।’