‘নির্বাচনে জয় পরাজয় আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত’
সাদাকালো নিউজ
কড়া নিরাপত্তায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচনে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বসানো হয়েছে ৪ হাজার ৪৩৫টি সিসি ক্যামেরা। রাজধানীর আগারগাঁও থেকে সরাসরি ভোটের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে টঙ্গীর ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের দারুস সালাম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দেন নৌকা প্রতীকে অংশ নেয়া আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান। ভোট দেয়া শেষে তিনি জানান, জয়-পরাজয় আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। তিনি বিশ্বাস করেন, ফয়সালা আসমান থেকে হয়। আল্লাহ যা চান তা জনগণের মাধ্যমে প্রকাশ করবেন।
জনগণ যাকে নির্বাচন করবে সেটাই মেনে নেবেন বলে জানান আজমত উল্লাহ। বলেন, গাজীপুরে সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জনগণের অপিনিয়নের প্রতি তিনি সব সময় শ্রদ্ধা দেখিয়ে আসছেন। জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে, সেটা তিনি মেনে নেবেন। সমাজের উন্নয়নমূলক, শিক্ষামূলক এবং দুর্যোগের সময় তিনি জনগণের পাশে ছিলেন। জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী।
স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদার এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগের বিষয়ে আজমত উল্লা জানান, স্পেসিফিকভাবে বলতে হবে কোন কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটেছে। অন্য প্রার্থীর এজেন্টের দায়িত্ব তিনি নেবেন না।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন ৮ জন প্রার্থী। সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডে একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ভোটে লড়ছেন ৩৩৩ জন প্রার্থী।
৫৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৭ জন, মহিলা ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৮ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছে ১৮ জন। ৪৮০টি ভোট কেন্দ্রে এ ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। ভোটের জন্য ১০ হাজার ৯৭১ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো ৩৫১টি কেন্দ্র। আর ১২৯টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৫৭টি ওয়ার্ডে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আছেন ৭৬ জন, সঙ্গে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটও আছেন।
এছাড়াও র্যাবের ৩০টি টিম এবং বিজিবির ২০ প্লাটুন সদস্য রয়েছেন। স্ট্রাইকিং ফোর্স পুলিশের ১৯টি ও মোবাইল টিম হিসেবে ৫৭টি টিম রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য ১৭ ও সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন করে সদস্য রয়েছেন।