দোকান উদ্বোধন করতে দুবাই যাচ্ছেন হিরো আলম!
সাদাকালো নিউজ
আশরাফুল হোসেন, যিনি হিরো আলম নামে পরিচিত। সংগীতের ভিডিও, মডেলিং, হাস্য রসাত্মক অভিনয় ও গায়ক হিসেবে দর্শকদের মধ্যে বহুল উচ্চারিত নাম। আলোচিত এই ইউটিবারকে নিয়ে আলোচনা যেন থামছেই না।
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এবার বিদেশের মাটিতে দোকান উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন আলোচিত এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর। একটি জুয়েলারি দোকান উদ্বোধন করতে দুবাই যাচ্ছেন তিনি। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় হিরো আলম নিজেই এ কথা জানিয়েছেন।
হিরো আলম বলেন, ‘আমি হিরো আলম আগামী ১৫ মার্চে আসতেছি দুবাই। সবাই বলেন, হিরো আলম কবে দুবাই আসবে। আর দেরি না। আগামী ১৫ মার্চ সন্ধ্যে ৭ ঘটিকায়। আমি হিরো আলম আসতেছি। শুনলে অবাক হবেন, অনেক দেশ থেকে বড় বড় তারকাও আসতেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার খুবই একজন আপন, আমাকে খুব আদর করে ভালোবাসে- আরাফ ভাই। আপনারা সবাই জানেন আগামী ১৫ মার্চ আরাফ জুয়েলারির শুভ উদ্বোধন। আর এই উদ্বোধনে বাংলাদেশ থেকে, ভারত থেকে এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে বড় বড় স্টারদের নিয়ে আরাফ ভাই এই জুয়েলারি শপ উদ্বোধন করছে। সবাই আসবেন।’
দুবাইয়ের হিন প্লাজায় এই স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত হিরো আলম। তিনি বলেন, ‘এই উদ্বোধনে আপনাদের হিরো আলম আসছে দুবাই। দেখা হবে কথা হবে, মাস্তি হবে।’
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে লড়ে অল্প ভোটে পরাজিত হন হিরো আলম। ভোটের আগে হাইকোর্টে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরেছিল তার। ভোটের পরও নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ তোলেন তিনি।
১৯৮৫ সালের ২০ জানুয়ারি বগুড়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন হিরো আলম। দরিদ্র পরিবারের সন্তান তিনি। যখন ছোট ছিলেন তখন অভাবের কারণে নিজ পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। বেরে উঠেন আরেকটি পরিবারে। আলমের পালক পিতা আব্দুর রাজ্জাক মা আশরাফুন বেগম।
হিরো আলমের বলার মতো প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা নেই। স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। অভাব অনাটনের কারণে অল্প বয়সে ধরেন পরিবারের হাল। প্রথমদিকে নিজ গ্রাম এরুলিয়ায় সিডি বিক্রির কাজ শুরু করেন। সেটির দিন যখন শেষ, তখন নামেন স্যাটেলাইট টিভি সংযোগের ব্যবসায়। এই ব্যবসা চলাকালে শখের বসে তিনি মিউজিক ভিডিও নির্মাণ শুরু করেন। সেগুলো ছড়াতে থাকেন ইউটিউব এবং ফেসবুকে।
এই মিউজিক ভিডিও নিয়ে ২০১৬ সালের দিকে সামাজিক মাধ্যমে বিশেষ করে ফেসবুকে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। কুরুচিসম্পন্ন আর নিম্নমানের ভিডিও বানিয়ে সে সময় তাকে নিয়ে অনেকে হাসাহাসিও হয়। ট্রল হতে হতেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যান তিনি।