দেশে পিকে হালদারের যত সম্পদ
সাদাকালো নিউজ
পিরোজপুরের নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান প্রশান্ত কুমার ওরফে পিকে হালদার। গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন তিনি। এছাড়াও বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীর দায়িত্বে ছিলেন পিকে।
এসব পদে থাকা অবস্থায় মাত্র ১০ বছরে পিকে হালদার বেনামে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৯৩৩ কোটি টাকার জমি, ফ্ল্যাট ও হোটেল কিনেছেন। এসব তথ্য উঠে এসেছে প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদকের অভিযোগপত্রে। দুদক বলেছে, পিকের বৈধ সম্পদের পরিমাণ মাত্র ১২ কোটি টাকা।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, দেশের চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পি কে হালদার নামে-বেনামে বিভিন্ন কোম্পানির নামে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বের করে নেন। এই টাকা আর ফেরত না আসায় ওই চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। প্রতিষ্ঠান চারটি হলো ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি।
টাকা বের করার আগে শেয়ার কিনে তিনি এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিতেন পিকে হালদার। তাঁর এই আর্থিক জালিয়াতির কথা জানাজানি হয় ২০২০ সালের শুরুতে। আর তিনি দেশ ছাড়েন ২০১৯ সালের শেষ দিকে।
ফেরারি থাকা অবস্থায় ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এই মামলাতেই পি কে হালদার, তার মা, ভাই, নিকটাত্মীয়সহ ১৪ জনের নামে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে দুদক। এই মামলায় পি কে হালদারের মামাতো ভাই শঙ্খ ব্যাপারী, ঘনিষ্ঠ সহযোগী সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা ও অবন্তিকা বড়াল গ্রেপ্তার হন। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।