দুবাইয়ের সেই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর সম্পর্কে মুখ খুললেন হিরো আলম!
সাদাকালো নিউজ
আরাভ খান নামে এক ব্যক্তির স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করতে সম্প্রতি দুবাই গেছেন দেশের আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। তবে সেই স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনের দিনেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে, সেই আরাভ খান একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে শেষ করে দেয়ার ঘটনায় পলাতক আসামি।
আরও জানা যায়, তার নাম আরাভ খান নয়, আসল নাম রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয়। ২০১৮ সালে পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরানকে শেষ করে দেয়ার ঘটনায় তিনি চার্জশিটভুক্ত আসামি। পাসপোর্টে নাম পরিবর্তন করে তিনি বিদেশে পালিয়ে যান। সেখানে গিয়ে নাম নেন আরাভ খান।
সেই স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের দোকানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হিরো আলমের পাশাপাশি দুবাই গেছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ বাংলাদেশের আরও বেশ কয়েকজন তারকা। খবর প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। এমন একজন ফেরারি আসামির দাওয়াতে দুবাই যাওয়ার বিষয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন হিরো আলম।
দেশের একটি গণমাধ্যমকে হিরো আলম বলেন, আমি সব জানি, সারাক্ষণ আরাভ ভাইয়ের কাছেই থাকি। তবে বিষয়টি নিয়ে আমাদের কোনো কিছু করার নেই। আমরা আর্টিস্ট যেকোনো জায়গাতে যেতে পারি। কে কী করলো, সেটা তো আমরা দেখি না।
আরাভের বিষয়টি আগে থেকে জানতেন কি না- এমন প্রশ্নে হিরো আলম বলেন, আগে থেকে জানতাম না। খবর প্রকাশের পর জানতে পেরেছি। তবে এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। কারণ আমরা আর্টিস্ট, যে কোনো জায়গায় যেতে পারি।
হিরো আলম আরও বলেন, আরাভ খানতো এক মাস আগে থেকে তার দোকানের বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। তার নামে যে এতো অভিযোগ, সেটা নিয়ে আপনারা আগে নিউজ করতে পারতেন। তখন আমরা ভেবে দেখতাম, অনুষ্ঠানে যাওয়া যাবে কি না। দুবাই থেকে আরও তিনদিন পর দেশে ফিরবেন বলেও জানান হিরো আলম।
ফেরারি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান দুবাইয়ে বাংলাদেশি পরিচয় দেন। অথচ তিনি দেশটিতে গেছেন ভারতের পাসপোর্ট নিয়ে। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার আশুতিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম মতিউর রহমান মোল্লা। আর ভারতের পাসপোর্টে তার ঠিকানা পশ্চিমবঙ্গের নরেন্দ্রপুর গ্রামে। বিয়ে করেছেন আসামের নাগরিক সাজেমা নাসরিনকে।
পাসপোর্টের তথ্য বলছে, ২০২০ সালে অবৈধভাবে ভারতীয় পাসপোর্ট সংগ্রহ করেন রবিউল। এর পরের বছর দুবাই চলে যান। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে সেখানে স্বর্ণের ব্যবসায়ী, বুর্জ আল খালিফা ভবনে ফ্ল্যাট এবং দামি দামি গাড়ির মালিক বনে যান। কিভাবে এতো তাড়াতাড়ি বিত্তশালী হলেন রবিউল তা নিয়ে এখন দুবাইয়ের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে চলছে তোলপাড়। একিসঙ্গে আশ্চর্য হয়েছেন দেশের গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও।