২ সপ্তাহে বিদ্যুৎ সংকট সমাধানের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
সাদাকালো নিউজ
চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকেই তীব্র দাবদাহে পুড়ছে দেশ। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বৃষ্টির কারণে কিছুটা স্বস্তির দেখা মিললেও আবার বাড়ে তাপমাত্রা। এরপর দেশজুড়ে শুরু হয় বিদ্যুতের অতিরিক্ত লোডশেডিং। যার ফলে ভোগান্তিতে পড়ে সব শ্রেণি পেশার মানুষ। এর মধ্যেই বিদ্যুৎ নিয়ে সুখবর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারপ্রধান জানিয়েছেন, আগামী দুই দিনের মধ্যে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে জাতীয় গ্রিডে। দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।
বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেয়া বিদ্যুতে, ইন্টারনেটে, এসি রুমে বসে আমাদেরই সমালোচনা করা হয়। আমরা জানি, কখন কোন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কখন কোন কথা বলতে হয়। ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে দেশের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। সেটা উপলব্ধি করতে পারছি আমি। সেই কষ্ট দূর করতে আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছি। খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এর আগে ৬ জুন লোডশেডিং পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। তারা বলেন, বিদ্যুৎ খাতে সরকারের সফলতা ছিল। কিন্তু হঠাৎ পরিস্থিতি বদলে গেছে। লোডশেডিং যেভাবে বাড়ছে, তাতে জনরোষের সৃষ্টি হতে পারে। আগেভাগে কয়লা-গ্যাস আমদানি করলে এ অবস্থা হতো না।
বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে এ সংকটকে আকস্মিক দাবি করে সবাইকে একটু ধৈর্য ধরার অনুরোধ করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি জানান, হঠাৎ লোডশেডিং বেড়ে যাওয়া আকস্মিক ঘটনা। আগামী ১৫-১৬ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
দেশে তীব্র দাবদাহের মধ্যে জ্বালানির অভাবে হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় পায়রার ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। প্রথম ইউনিটের পর গেল সোমবার থেকে দ্বিতীয় ইউনিটও বন্ধ হয়ে যায়।
দেশের সবচেয়ে বড় চালু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জোগান মেটাতে বড় ধরনের ঘাটতির মুখে পড়তে হয় সরকারকে। বর্তমানে লোড ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।