তত্ত্বাবধায়ক সরকার কবরে, আর আসবে না: ওবায়দুল কাদের
সাদাকালো নিউজ
এক্সবিএনপিকে নির্বাচনে এসে নিজেদের শক্তি যাচাই করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
দলটির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ইলেকশনে আসেন না দেখি পাবলিক কারে ভোট দেয়। নির্বাচনে আসলে বুঝব কারা জনপ্রিয়। নির্বাচনে নিজেদের শক্তি যাচাই করে দেখুন।’
সোমবার (১২ জুন) রাজধানীর পল্লবীর হারুন মোল্লা ঈদগাহ মাঠে যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের পল্লবী ও রূপনগর থানার অন্তর্গত ২, ৩, ৫, ৬, ৯১ ও ৯২ নং ওয়ার্ডের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী মোল্লা।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। প্রধান বক্তা ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, লাফালাফি করে লাভ নেই। সিটি ইলেকশনে তো গেলেন না। কাউন্সিলররা ঠিকই দাঁড়িয়ে গেল।
খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, আজকে খবর পেয়েছেন, নৌকা বরিশাল ও খুলনায় বিপুল ভোটে বিজয়ের পথে। দুই-তৃতীয়াংশ ভোট গগণা হয়ে গেছে। বিপুল ভোটে নৌকা এগিয়ে আছে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিএনপি, সুজনের নেতারা বলে বাংলাদেশে নাকি শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। তাহলে গাজীপুরে, গাইবান্ধায় কি হল?। আজকে খুলনা ও বরিশালে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। তাহলে বিএনপি কি করে বলে মানুষের নির্বাচনে আগ্রহ নেই।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার ওপর আল্লাহ রহমত আছে। তার পাশে বাংলার মানুষ আছে। যিনি দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, এদেশের মানুষের কথা ভাবেন, কোথাও খাদ্য সংকট, কোথাও দ্রব্যের দাম বাড়লো সে কথা ভাবেন। তাকে হটানো অতো সহজ নয়।
তিনি বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করে বলেন, তারা সাময়িক বিদ্যুৎ সংকটকে পুঁজি করে মনে করেছিল এই বুঝি সরকার পড়ে গেল। চিন্তার কিছু নেই। আমরা জনগণের পাশে আছি। শেখ হাসিনা আছেন। আমরা মরে যাব, তবু জনগণের সঙ্গে বেইমানি করব না। বঙ্গবন্ধু কোনোদিন বাংলার মানুষের সঙ্গে বেইমানি করেননি। তার কন্যা শেখ হাসিনাও করবেন না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অতি দ্রুত বিদ্যুৎ সংকট কেটে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। আর বিএনপি দিয়েছিল খাম্বা। এমনকি এক ধ্বাক্কায় তেলের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে।
জাতীয় পার্টির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তারা এক সময় আমাদের মিত্র বলে পরিচিত ছিল। গতকাল দেখলাম তারা বলে দিল, আমাদের অজান্তে আমরা নাকি শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছি। আসলে তার ওপর ফখরুলের আসর ভর করেছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব নির্বাচনে আসেন নাহ! আমরা নাকি নির্বাচনে ১০ ভাগ ভোটও পাবো না। ২০০৮ সালে বিএনপির কপালে ৩০ টা আসন জুটেছিল। অতএব তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন করে লাভ নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন কবরে চলে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে আদালতের সঙ্গে ফয়সালা করুন। আমরা এই ব্যবস্থা বন্ধ করিনি, করেছেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন পর দেখব মনোনয়ন বাণিজ্য শুরু হয়ে গেছে। একবার মনোনয়ন আসবে লন্ডন থেকে, কখনো গুলশান থেকে, আরেক দফা আসবে পল্টন থেকে।
তিনি বলেন, আজকে যুবলীগ অত্যন্ত সংগঠিত। যুবলীগ বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউ। রাজপথের সকল সংগ্রামে যুবলীগ সবসময় উত্তাল তরঙ্গের মতো কাজ করেছে।