তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে : আব্বাস
সাদাকালো নিউজ
‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন— নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়ার অবস্থা সংবিধানে নেই। আমরা বলতে চাই, নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে। কারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই সংবিধানেই ছিল।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা জামায়াত ও আওয়ামী লীগের দাবিতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই মুহূর্তে দরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার, কার দাবি ছিল? জামায়াত ও আওয়ামী লীগের।
এই বিএনপি নেতা বলেন, খালেদা জিয়াকে আজকে স্মরণ করতে হয়। কারণ, তিনি দেশকে ভালোবাসেন। তিনিও পারতেন গোলাগুলি, খুনোখুনি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে। কিন্তু, তিনি সেটা করেননি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানে সংযুক্ত করলেন। নির্বাচন দিলেন, সেই নির্বাচনে আপনারা (আওয়ামী লীগ) পাস করলেন। এরপর আপনারা ক্ষমতায় এসে সেই সংবিধান কাটাছেঁড়া করে বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন। এখন সেখান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দিয়েছেন। আবার বলছেন, সংবিধানের বাইরে নির্বাচন করার অবস্থা নেই। আমরাও বলতে চাই, সংবিধানের বাইরে যেতে চাই না। আমরা চাই, যে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল, সেই সংবিধানই আপনারা করবেন। যে সংবিধান আছে, সেই সংবিধান নয়। যেই সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।
আব্বাস বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা যে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছে, এতে সরকার এবং সরকারের নেতাকর্মীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। তাই সরকার বিএনপিকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। এর থেকে গর্বের বিএনপির জন্য আর কিছু হতে পারে না।
তিনি বলেন, এই দানবীয় সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। আওয়ামী লীগের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না, লুটেরা সরকারের মুখে মানুষের অধিকারের কথা মানায় না, রাতের ভোটের সরকারের মুখে মানুষের বাক-স্বাধীনতার কথা মানায় না, ভোটচোরের সরকারের মুখে অবাধ নির্বাচনের কথা মানায় না। এ দেশকে আমরা হায়েনার হাত থেকে মুক্ত করব।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা খুন-গুম গ্রেপ্তারের ভয় পায় না। আপনাদের প্রতিহত করার মতো শক্তি এবং সামর্থ্য বিএনপি রাখে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মুক্তির দাবিতে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন।