ঢাকা-১৭ আসনে জাপার প্রার্থী কে?
সাদাকালো নিউজ
নতুন করে ফের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন দলের কো চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ এবং দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে দুজনই আলাদা প্রার্থী মনোনয়ন দেয়াকে কেন্দ্র করেই মূলত দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। দুজনেই এ বিষয়টি নিয়ে সিরিয়াস। কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয়।
ঢাকা-১৭ আসনে রওশন এরশাদ মনোনয়ন দিয়েছেন জাপা থেকে অব্যাহতি পাওয়া দলের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদকে। অপরদিকে জিএম কাদের দলের প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছেন মেজর (অব.) সিকদার আনিছুর রহমানকে।
দলীয় চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের প্রার্থীর মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে চান জিএম কাদের। ঠিক তেমনি আদালতের রায়ে দলটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে রওশন এরশাদও চান তার প্রার্থীই লাঙ্গল নিয়ে নির্বাচনে থাকুক।
১৪ই জুন রওশন এরশাদ মনোনীত প্রার্থী কাজী মামুনুর রশীদ নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্রের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ২০০০ সালের মোকদ্দমার রায়ের কপিও যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ছিল ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অনুমোদিত ও তৎকালীন মহাসচিবের সই করা দলীয় গঠনতন্ত্রের প্রথম মুদ্রণ কপিও।
এ বিষয়ে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু জানিয়েছেন, রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তিনি মনোনয়ন দিতে পারেন না। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গোলাম মোহাম্মদ কাদের দলের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। পার্টির চেয়ারম্যান যদি দীর্ঘদিনের জন্য অসুস্থ থাকেন অথবা দেশের বাইরে থাকেন সে ক্ষেত্রে মহাসচিব চেয়ারম্যানের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
অন্যদিকে রওশনপন্থী নেতা ইকবাল হোসেন রাজু জানান, জিএম কাদের এ পর্যন্ত বিভিন্ন নির্বাচনে যতজনকে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছেন তারা ভালো করতে পারেননি। দলের স্বার্থে রওশন এরশাদ ঢাকা-১৭ আসনে যোগ্য একজনকে প্রার্থী দিয়েছেন। যিনি অন্যদলগুলোর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। দলের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত তাদের মেনে নেয়া উচিত।
২০০৮ সালে ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন সাবেক সামরিক শাসক ও জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। সে সময় বিএনপি নেতা প্রয়াত হান্নান শাহকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হলেও নায়ক ফারুককে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ান।
চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য ফারুকের প্রয়াণে শূন্য ঘোষণা করা হয় ঢাকা-১৭ আসন। আগামী ১৭ জুলাই এ আসনে উপনির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ১৫ই জুন।