ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
সাদাকালো নিউজ
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন তিনি।
২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সঙ্গে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আবদুল্লাহপুর, আশুলিয়া, বাইপাইল এবং ইপিজেডকে যুক্ত করবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমেদ কায়কাউস। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের জন্য খসড়া ঋণ চুক্তির অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী। চীনা এক্সিম ব্যাংক এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের জন্য ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বা ১০ হাজার ২২৬ দশমিক ৫৩ কোটি টাকার ঋণের অনুমোদন দিয়েছে। মোট ১৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকার প্রকল্প ব্যয়ের ৬৫ শতাংশ দেবে চীন। এই এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের জন্য যানবাহনগুলোকে টোল দিতে হবে।
প্রকল্পের নথি অনুযায়ী, এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে দেশের ৩০ জেলার মানুষ দ্রুত ও সহজে রাজধানীতে প্রবেশ ও বের হতে পারবে। এর মাধ্যমে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ০ দশমিক ২১ শতাংশ বাড়বে বলেও আশা করা হচ্ছে।
শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে যাত্রাবাড়ী প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ চলছে। এখন সাভার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণ হলে উড়ালপথে সাভার থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত ৪৪ কিলোমিটার পথ সংযুক্ত হবে।
এ পথ যেতে লাগবে এক ঘণ্টারও কম। রাজধানী ঢাকার যানজট এড়িয়ে উত্তরবঙ্গের সব ধরনের যানবাহন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উঠতে পারবে। এতে ঢাকার যানজট পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। উত্তর-দক্ষিণের কানেকটিভিটি অনেক বেড়ে যাবে।
‘ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’নির্মাণ প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য ধরে ২০১৭ সালে অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। যদিও কাজ শুরুর আগেই শেষ হয়েছে মেয়াদ। তাই প্রকল্পটি সংশোধন করে আরও চার বছর মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুনে বাস্তবায়নের লক্ষ্য ধরা হয়েছে। সঙ্গে নির্মাণ ব্যয়ও বেড়েছে ৬৫০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে বর্তমানে নির্মাণ ব্যয় হবে ১৭ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা।