ডিপজলের অপেক্ষায় নায়ক জায়েদ খান!
সাদাকালো নিউজ
কিছুদিন আড়ালে থাকার পর ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো নিপুণ-জায়েদ দ্বৈরথ। একাধিক কার্যনির্বাহী সভায় উপস্থিত না থাকার কারণ দেখিয়ে অভিনেত্রী সুচরিতা ও চিত্রনায়ক রুবেলের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যপদ বাতিল করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। আর বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ এনে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের সমিতির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে তাদের দ্বন্দ্ব চলছে সেই ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে। এখনো চূড়ান্ত কোনো সুরাহা হয়নি। তবে থেমে থেমেই দমকা হাওয়ার মতো নতুন প্রসঙ্গে ইন্ডাস্ট্রি গরম করে চলেছেন তারা। এই পদটি নিয়ে আদালতের চূড়ান্ত রায় না এলেও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নানাবিধ দায়িত্ব পালন করছেন নিপুণ। আর সেই দায়িত্ব বলেই জায়েদের সদস্যপদ স্থগিত করেছেন তিনি।
এর আগে গেল ২২ ফেব্রুয়ারি লিখিত নোটিশ পাঠানো হয় জায়েদের ঠিকানায়। যেখানে বলা হয়, নিপুণকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন জায়েদ খান। এ কারণে সমিতির গঠনতন্ত্রের ধারা মোতাবেক তার সদস্যপদ স্থগিতের কথা ভাবছে সংগঠনটি। এরপর দোশরা এপ্রিল বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জায়েদের সদস্যপদ স্থগিতের কথা জানান সংগঠনটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক।
তিনি বলেন, আমাদের কার্যনির্বাহী কমিটির নবম মিটিং হয়েছে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে সমিতির গঠনতন্ত্রের ৭ (ক) ধারার আলোকে জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিত করার। সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করায় জায়েদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
কিন্তু এই স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্ত এখনই চূড়ান্ত নয় বলেও জানান এই নেতা-অভিনেতা। তিনি জানান, আজকের সিদ্ধান্তের বিষয়টি আমাদের উপদেষ্টামণ্ডলী ও আইনজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবো। আর ঠিক এই সময়ে গণমাধ্যমকর্মীদের রোষানলের মুখে পড়েন সাইমন। প্রশ্ন ওঠে ৭ (ক) ধারায় এই স্থগিতাদেশ দেয়া যায় কি না, বিচারাধীন একটি মোকদ্দমার বিপরীতে নিপুণ আক্তার সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে পারেন কি না?
এদিকে সংবাদ সম্মেলন ও সদস্যপদ স্থগিত করার বিষয়ে জায়েদ খান বলেন, সবকিছুই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে। তারা কিন্তু সাংবাদিকদের পরিষ্কার করেনি আমার সদস্য পদের বিষয়টি। নিজেদের মধ্যে অনেক ঝামেলা আছে তাই সবকিছু এখনই খোলাসা করছে না তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, আপনার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। বাতিলের বিষয় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে পরবর্তী সভায়। পরিষ্কার করে বলার মত কি আরও কিছু আছে? উত্তরে জায়েদ খান বলেন, আপনারা হয়তো খেয়াল করেননি, তারা সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য সময়ের প্রয়োজন। তার মানে কিছু একটা আছে। যাই হোক আমি সে বিষয়ে আর কথা বলতে চাই না, আমি তাদের চিঠির অপেক্ষায় আছি। এরপর বিষয়টি নিয়ে কথা বলব।
এফডিসিতে মিছিল ও মানববন্ধনের বিষয়ে জায়েদ খান বলেন, যারা এসব করেছে তাদের মধ্যে আপনি ক’জনকে চেনেন। পুরো বিষয়টাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সিনিয়র শিল্পী ডিপজল ভাই বর্তমানে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আছেন। উনি দেশে আসলে একসঙ্গে বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। পরে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি সবাইকে জানানো হবে।
এদিকে, শুধু জায়েদ খান নন, পৃথক দুটি চিঠি পাঠিয়ে শিল্পী সমিতির নির্বাচিত সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক রুবেল এবং কার্যনির্বাহী সদস্য অভিনেত্রী সূচরিতাকেও তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।