ডায়েরিতে ‘মুক্তির পথ নেই’ লিখে রাবি ছাত্রীর আত্মহত্যা
রাকিবুল ইসলাম
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন। গেল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তিনি নিজেই নিজেকে শেষে করে দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীর নাম সাদিয়া তাবাসসুম। রাবির ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি । তাঁর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের বিষমপুর গ্রামে। তিনি অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মাহবুব রশিদ ফারুকের মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিজ ঘরেই বাঁশের আড়ার সঙ্গে ঝুলে পড়েন সাদিয়া। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে শেষ নিঃশ্বাস ছাড়েন তিনি।
দুনিয়া ছেড়ে যাওয়ার আগে সাদিয়া তার বাবার ডায়েরিতে কিছু শব্দও লিখে রাখেন। সাদিয়া লেখেন, ‘চোরাবালির মতো ডিপ্রেশন বেড়েই যাচ্ছে। মুক্তির পথ নেই, গ্রাস করে নিচ্ছে জীবন, মেনে নিতে পারছি না।’
সাদিয়ার এভাবে চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না তাঁর শিক্ষকরা।
একইদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ছাদ থেকে পড়ে অমিত কুমার বিশ্বাস নামে এক শিক্ষার্থীও পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন অমিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক জব্বার হলের ৩১৫ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি খুলনার দৌলতপুরে। বাবা অজয় কুমার বিশ্বাস বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে কর্মরত। পরিবারের একমাত্র সন্তান ছিলেন অমিত।