ডলারের মান কমেছে, বেড়েছে অন্যান্য মুদ্রার
সাদাকালো নিউজ
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান মুদ্রা ইউরোর দাম ব্যাপক বেড়েছে। গত ১ বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।
এতে বলা হয়, ইউরোপের অর্থনীতি স্থিতিশীল হয়েছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে মার্কিন অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফলে ডলারের বিপরীতে ইউরোর মান বেড়েছে শূন্য দশমিক ০৮ শতাংশ। প্রতি ইউরোর মূল্য স্থির হয়েছে ১ দশমিক ১০৪ ডলারে। বিগত ১ বছরের মধ্যে যা সবচেয়ে বেশি।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) প্রধান ৬ মুদ্রার বিপরীতে গ্রিনব্যাক সূচক অপরিবর্তিত আছে। বর্তমানে তা ১০১ দশমিক ৪১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের কার্যদিবসে যা শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ পতন ঘটে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ডলারের দাম ব্যাপক বাড়ে। গত ২০ বছরের মধ্যে যা ছিল সর্বোচ্চ। সেই থেকে এখন পর্যন্ত বৈশ্বিক মুদ্রাটি দর হারিয়েছে ১১ শতাংশ। অর্থাৎ গত ৮ মাসে প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রার ব্যাপক দরপতন ঘটেছে।
অবশ্য এদিন জাপানি মুদ্রার বিপরীতে গ্রিনব্যাকের দাম বেড়েছে শূন্য দশমিক ০৮ শতাংশ। প্রতি ডলারের মূল্য নিষ্পত্তি হয়েছে ১৩৩ দশমিক ৭০ ইয়েনে।
তবে মার্কিন মুদ্রার বিপরীতে স্টার্লিংয়ের দর অপরিবর্তিত আছে। ব্রিটিশ মুদ্রাটির দাম দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ২৪৭ ডলারে। আগের কর্মদিবসে যা শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ বেড়েছিল।
সুইডেনের মুদ্রার বিরুদ্ধে স্থিতিশীল হয়েছে ইইউ মুদ্রা। ইউরোপ্রতি দর নির্ধারিত হয়েছে ১১ দশমিক ৩৯৮ ক্রোনা। আগের দিন তা শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউএস মূল্যস্ফীতি কমেছে। ফলে সুদের হার বাড়ানো চক্র বন্ধ করতে পারে ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এতে ডলারের অবমূল্যায়ন ঘটেছে।