জুয়েল বিয়ে না করলে আ-ত্ম-হ-ত্যা ছাড়া উপায় নেই!
প্রেমের কাছে সব কিছুই তুচ্ছ। প্রেমে পড়লেও জ্বালা আবার এর স্বাদ না নিলেও যেন মন ভরে না। তবে আমাদের এই দুনিয়ায় বর্তমানে হরেক রকমের প্রেম। কেউ ভালোবেসে সুখের সংসার করে। আবার কেউ কষ্ট দিয়ে দূরে সরে যায়। কেউ আবার সবকিছু ছেড়েছুড়ে অনশনে বসে যান। যেমনটা ঘটেছে রাজশাহীর তানোড় উপজেলায়।
দীর্ঘ চার বছরের প্রেম বাঁচাতে উপজেলার চান্দুড়িয়া গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন আয়শা আক্তার রুমি নামে এক তরুণী। রুমির বাড়ি বরিশালে হলেও থাকেন ঢাকাতে। ইডেন কলেজের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্রী রুমি। পড়াশোনার পাশাপাশি গুলশানে আড়ংয়ের শো’রুমে পার্টটাইম চাকরিও করেন। গেল শনিবার ফেসবুকে এমন ঘটনা ভাইরাল হলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়।
প্রেমিক জুয়েল রানা চান্দুড়িয়া গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে। ঢাকায় একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন তিনি। বর্তমানে ঢাকাতেই আছেন। জানা যায়, গত রোববার জুয়েল রানার গ্রামের বাড়িতে আসেন ওই তরুণী। সেখানে তিন দিন অনশন করায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তবে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন।
সম্প্রতি প্রেমিক জুয়েল রাজশাহী নগরীর নওদাপাড়া এলাকার এক মেয়েকে বিয়ে করেছেন। বিষয়টি জানতে পেরে ওই মেয়ে ছেলের কাছে আসতে চাইলে প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করেন। বাধ্য হয়ে জুয়েলের গ্রামের বাড়িতে আসেন ওই তরুণী।
ভুক্তভোগী তরুণী জানান, বছর চারেক আগে রাজধানীর হাতিরঝিলে একটা গানের অনুষ্ঠানে তাঁদের পরিচয় হয়। যা এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। প্রেমিকের বিয়ের পরেও তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে তরুণীর।
রুমি জানান, জুয়েল যদি বিয়ে না করে তাহলে নিজেকে শেষ করে দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই তাঁর। এমনকি আগের বউ থাকলেও রুমির কোনো আপত্তি নেই। জুয়েলকেই বিয়ে করতে চান তিনি। তানোর থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া জানান, খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়ের বাসায় যোগাযোগ করে তাদের আসতে বলা হয়। কিন্তু পরে তাদের আর সাড়া পাওয়া যায়নি।
সাদাকালো নিউজ