জিম্বাবুয়ে দেশটির মূল্যস্ফীতি কমে ৮৭ দশমিক ৬
সাদাকালো নিউজ
গত বছর জিম্বাবুয়ের মূল্যস্ফীতি আশ্চর্যজনকভাবে ২৮৫ শতাংশে পৌঁছেছিল। তবে গত আগস্ট থেকে দেশটির মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমতে শুরু করে। ফলে চলতি বছরের মার্চ শেষে দেশটির মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়ায় ৮৭ দশমিক ৬ শতাংশে।
ইতোমধ্যে আকাশচুম্বী মূল্যস্ফীতি জনজীবনে সৃষ্টি করেছে ব্যাপক দুর্ভোগ। ফলে সেখানকার অধিবাসীদের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে জীবিকা নির্বাহ করতে নানা উপায় অবলম্বন করতে হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা হারারের প্রতিবেদনে বলা হয়, জিম্বাবুয়ের প্রায় ৭৬ শতাংশ জনগণ এখন শিল্পকারখানায় কাজের সুযোগ পাচ্ছে না। দেশটির জনগণ রাস্তায় নেমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি ও সেবা প্রদানের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছে।
জিম্বাবুয়ের মাসভিঙ্গো প্রদেশের জেলা চিভির ৪৪ বছর বয়সি বাসিন্দা নোয়েল এনগুয়েনিয়া। তিনি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বুলাওয়েতে কাজ করেন। সেখানেই হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে নিজের ব্যবসার প্রচার-প্রচারণা চালান তিনি। সুপার মার্কেট ও অন্যান্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গ্রহণ করছে না এমন ছেঁড়া বা ময়লা বিদেশি মুদ্রার নোট সংগ্রহ করেন। গ্রাহকদের ছেঁড়া বিদেশি নোটের (ডলার বা রেন্ড) লেনদেনে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ প্রদান করে এনগুয়েনিয়া। অর্থাৎ ২ ডলারের বিনিময়ে ১ ডলার এবং ২০০ রেন্ডের বিনিময়ে ১০০ রেন্ড পেয়ে থাকে গ্রাহক।
এ বিষয়ে নোয়েল এনগুয়েনিয়া বলেন, কোভিড মহামারির কারণে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। শিল্প-কারখানাগুলোতে নতুন করে কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় প্রায় সবাই রাস্তায় নেমে নানা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।