জায়েদা খাতুনের দুঃখ প্রকাশ!
সাদাকালো নিউজ
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে। এখানে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছে দলের দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতা আজমত উল্লাকে। গেল বারের মনোনয়ন পাওয়া জাহাঙ্গীর আলম এবার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। তবে বসে থাকেননি তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তবে ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। তবে তার মা জায়েদা খাতুন ভোটের মাঠে রয়েছেন।
সম্প্রতি নির্বাচনে আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগে জায়েদা খাতুনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছিলো নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নোটিশের জবাবও দিতে বলা হয়েছে। সেই নোটিশের জবাব দিয়েছেন জায়েদা খাতুন। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। ১২ই মে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে ওই জবাব পৌঁছে দেন জাহাঙ্গীর আলম।
স্বতন্ত্রপ্রার্থী জায়েদা খাতুন টেবিল ঘড়ি প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর নিজের ছবির সঙ্গে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের নাম ব্যবহার করার কারণে তাকে এ নোটিশ দেয়া হয়। এতে বলা হয়, প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার জায়েদা খাতুন নিজের ছবির সঙ্গে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের নাম ব্যবহার করছেন। যা সিটি করপোরেশন বিধিমালা লঙ্ঘন। নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিজের ছবি ও প্রতীক ছাড়া অন্য কোনো নাম, ছবি বা প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না।
নোটিশের জবাবে জায়েদা খাতুন জানান, নোটিশ পাওয়ার আগমুহূর্ত পর্যন্ত এ বিষয়ে তিনি অবগত ছিলেন না। তার অগোচরে কিছু অতি উৎসাহী ব্যক্তি জাহাঙ্গীরের ছবি সংযুক্ত করে বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শন করেছেন। তাদের প্রতি তিনি বিশেষভাবে অনুরোধ করেন, সেই ছবি, পোস্টার যেন তারা দ্রুত সরিয়ে নেন।
উল্লিখিত বিষয়ে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে জায়েদা খাতুন আরও জানান, ভবিষ্যতে তিনি আরও বেশি সতর্ক থাকবেন। নির্বাচনি বিধিবিধান সব মেনে চলবেন। একিসঙ্গে কেউ যদি তার অজান্তে নির্বাচনী আচরণবিধি অমান্য করে কোনো ধরনের প্রচার-প্রচারণা চালায়, সেটি যদি তিনি জানতে পারেন তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ৮ মেয়র প্রার্থী, ৭৭টি সংরক্ষিত আসন এবং ২৩৯টি সাধারণ সদস্য পদে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাহ খান নৌকা, সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন টেবিলঘড়ি, বিএনপি ঘরানার রনি সরকার হাতি, জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজউদ্দিন লাঙল, জাকের পার্টির রাজু আহমেদ গোলাপ ফুল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন অর রশিদ ঘোড়া প্রতীক পান।
প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই গাজীপুর সিটিতে চলছে প্রচার প্রচারণা। নগরীর অলিগলি ছেয়ে গেছে পোস্টারেও। নির্বাচিত হলে কী কী করবেন সেই প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন প্রার্থীরা। ভোট গ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত এ প্রচার চলবে।
এদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় মায়ের পাশে থাকছেন ছেলে জাহাঙ্গীর আলমও। তবে, নগরবাসীর কাছে এটা স্পষ্ট যে, নিজের মনোনয়ন বাতিলের আশঙ্কা থেকেই জাহাঙ্গীর আলম তার মাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে এনে দাঁড় করিয়েছেন। দলীয় সমর্থন হারানো ছেলের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে তিনি কতটা সফল হবেন এখন সেটাই দেখার বিষয়।