জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না আ.লীগ!
সাদাকালো নিউজ
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাহর পক্ষে প্রচার চালাতে থানা ও কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠন করছে আওয়ামী লীগ। ৯টি থানা ও ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রের বেশিরভাগ কমিটি গঠনের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ৯ মে’র মধ্যে এসব কমিটি গঠনের কাজ শেষ করে আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামবে ক্ষমতাসীন দলটি। এ ছাড়া মনোনয়ন বাতিল হওয়া জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়ে আওয়ামী লীগ মাথা ঘামাচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত দলীয় সমন্বয় টিমের বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। এ সময় আরও বলা হয়, গাজীপুর সিটি নির্বাচন পরিচালনার জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষে সেখানে একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেখান থেকেই পরিচালনা করা হবে নির্বাচন।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনে দলীয় টিমের প্রধান সমন্বয়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জানান, ৯ মে’র মধ্যে প্রস্তুতিমূলক সব কাজ শেষ করবেন তাঁরা। এর পর আনুষ্ঠানিক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হলেই দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে প্রচারে নামা হবে।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে তিনি জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে গাজীপুরসহ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন সুষ্ঠ ও অবাধ হওয়ার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। জাহাঙ্গীর বিষয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না আওয়ামী রীগ।
রাজধানী ঢাকার পাশবর্তী মহানগরী গাজীপুর। বিভিন্ন কারণে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট এখন রাজনৈতিক আলোচনার ইস্যু। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। তবে তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। দল বেছে নেয় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খানকে।
পরে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দেন জাহাঙ্গীর আলম। তবে তার মনোনয়ন পত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। বলা হয়, অগ্রণী ব্যাংকে ঋণ খেলাপি হওয়ার কারণে তার মনোনয়ন পত্রটি বাতিল করা হয়েছে। অবশ্য তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়ন পত্র বৈধ বলে ঘোষণা করে ইসি।
অবশ্য জাহাঙ্গীরের ভাষ্য, গত ১১ এপ্রিল ও ১৮ এপ্রিল কোরিয়ানরা বাংলাদেশ ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের যে পাওনা ছিল তা পরিশোধ করেছে। সেসব কাগজপত্র আইনজীবীর মাধ্যমে জমাও দেয়া হয়েছে। এরপরও তার মনোনয়ন পত্রটি বাতিল করা হয়েছে। তিনি জানান, এর মাধ্যমে এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা থেকে সরে গেছে। তবে ন্যায়বিচার পেতে তিনি আপিল করবেন। প্রয়োজনে হাইকোর্টে যাবেন।
এদিকে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ভোটে থাকায় বিব্রত কেন্দ্রীয় নেতারা। দলীয়ভাবে জাহাঙ্গীরকে ক্ষমা করা ভুল হয়েছে কি-না তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, জাহাঙ্গীর আবারও দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন। যে নেতা নিজ দলের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন সে দলের কেউ নন।