চার দশকে দেশের ওষুধশিল্প ঘুরে দাঁড়াল যেভাবে
সাদাকালো নিউজ
চার দশকে পাল্টে গেছে দেশের ওষুধ খাতের চেহারা। প্রায় পুরোটা আমদানি নির্ভর থেকে এখন ৯৮ শতাংশ ওষুধ নিজেরাই উৎপাদন করে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো। শুধু তাই নয়, ইউরোপ ও আমেরিকাসহ ১৬০টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে বাংলাদেশ। তবে এই খাতের আধুনিকায়ন নিয়ে এখনও প্রশ্ন রয়ে গেছে, প্রশ্ন আছে মান নিয়েও। ওষুধের কাঁচামালের বেশির ভাগই আমদানি নির্ভর।
তথ্যমতে, বাংলাদেশে ওষুধ উৎপাদনের যাত্রা শুরু স্বাধীনতার পরপরই। শুরুতে এ খাতটি তেমন উন্নত ছিল না। চাহিদার মাত্র ২০ ভাগ উৎপাদন করা যেত, বাকি ৮০ ভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো। ১৯৮১ সাল পর্যন্ত দেশের ওষুধের বাজারের ৭০ ভাগই বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণে ছিল। পরের বছর ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ জারির পর বিদেশি ওষুধ প্রতিষ্ঠানগুলোর একচেটিয়া বাণিজ্য থেকে এই খাত মুক্তি পায়। ধীরে ধীরে সম্প্রসারিত হতে থাকে বাজার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক আ ব ম ফারুখ বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানির প্রোডাক্টের মান নিয়ে দেশের মানুষ গর্ব করে। কিছু কোম্পানি আছে নিম্নমানের, বাজে ও নকল ওষুধ বানায়। এসব কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। সবকিছু সুন্দরভাবে করতে পারলে গার্মেন্টস সেক্টরের পর দ্বিতীয় রপ্তানি ও আয় এই খাতে থেকে আসবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাইদুর রহমান খসরু বলেন, পাঁচ দশকের পথ চলায় দেশের চাহিদার ৯৮ ভাগ পূরণ করে দেশের ওষুধ এখন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ ১৬০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। তবে, এ খাতের মান উন্নয়নে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।
নিয়মিত ওষুধের মান যাচাই, কাঁচামাল দেশে উৎপাদনসহ এই খাতকে আরও উন্নত করতে অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডিয়েন্ট বা এপিআই পার্ক দ্রুত চালুর দাবি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।