২৯ বছর পর হারানো বন্ধুদের মিলনমেলা
সাদাকালো নিউজ
“বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র” সংগঠন ও সংগ্রহশালার উদ্যোগে গিরিধর দে-এর সহায়তায় ২৯ বছর পর হারানো বান্ধবীদের খুঁজে পেয়ে এক হলেন আফরোজা জুঁই, আইরিন , রোকসানা আক্তার শান্তা, ইলোরা রহমান, রুনা লায়লা, সালমা আক্তার মুক্তি নামের ৬ বান্ধবী ।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১ :৩০ এর দিকে ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় পূণর্মিলন করানো হয় তাঁদের । দীর্ঘ দিনের জমে থাকা কথার মালায় বরফ গলে তাদের মাঝে। একে অন্যকে পেয়ে তারা মেতে ওঠেন সুখ দুঃখের গল্পে।
সম্প্রতি ১টি ছবির মাধ্যমে আবারও দীর্ঘ ২৯ বছর খুঁজে না পাওয়া ৬ বান্ধবীদের খুঁজে বের করেন তাঁরা । জানা যায় সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক গিরিধর দে-এর সহয়তায় তাঁদের বিপুল সদস্য সংখ্যা থাকা ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে কয়েক ঘন্টার ভেতরই ছবিতে থাকা সবাইকে খুঁজে পান ।
“বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র” প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক গিরিধর দে জানান, গত ১৯ অক্টোবর ইস্পাহানী গার্লস কলেজ, মগবাজার, ঢাকা এর উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়া ৬ শিক্ষার্থীর ১৯৯৩ সালের একটি গ্রুপ ছবি পাই আমরা । যেখানে রোকসানা আক্তার শান্তা নামের একজন আমাদের সাহায্য চান তাঁদের হারানো বান্ধবীদের খুঁজে পেতে। সেই মতে আমরা সেটি যাচাই-বাছাই শেষে অনুমোদন করি আমাদের ফেসবুক গ্রুপে এবং শুরু করি প্রচার প্রচারণা। সৌভাগ্যক্রমে প্রচার শুরুর কয়েকঘন্টার মধ্যেই পোস্টে রুনা লায়লা, ইলোরা রহমান এবং পর্যায়ক্রমে জুই, কাজি সাজ্জাদ খান (আইরিনের ভাই) সহ অনেকেই কমেন্ট করে উপস্থিতি জানান দেন এবং আমরা সবাইকে পেয়ে যাই । এরপর একে অন্যের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ হলো ।
অতঃপর তাঁদের দেখাও হলো। পূণর্মিলনীর পরিবেশের ব্যাপারে আমরা সর্বাধিক সচেষ্ট ছিলাম, বাইরের কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি যাতে করে উনাদের কোনভাবেই কোন বিব্রতকর পরিবেশ, পরিস্থিতি এবং ভোগান্তি না পোহাতে হয়। সকলেই খুব আন্তরিক ছিলেন এবং সহযোগিতা করেছেন। উনারা দিনটি নিয়ে প্রচন্ড উৎসাহী ছিলেন, যা ভাষায় ব্যক্ত করা সম্ভব নয়। প্রতি মুহূর্তে আমরা উনাদের খুশি দেখে আনন্দে ভাসছিলাম। জানি শুধু আমরাই নই, সারাদেশবাসী উনাদের এই মিলনে আনন্দিত হয়েছেন।
আমরা ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই সারা দেশবাসীকে এবং বিশেষ করে অনলাইন-অফলাইনে থাকা “বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র”-এর সকল সদস্য ও ফলোয়ারদের যারা আমাদের সর্বক্ষণ এই অসাধ্য সাধনের জন্য উৎসাহ দিয়ে শক্তি জুগিয়েছেন। “বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র” বার বার প্রমাণ করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভালোকাজে ব্যবহার হলে এটি আমাদের জন্য সর্বদাই মঙ্গলকর ।