প্রতারক চক্রের টার্গেট যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী!
সাদাকালো নিউজ
প্রতারকের টার্গেট যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী! সংসদ সদস্য, বিচারক কিংবা জেলা প্রশাসক পরিচয়ে পুলিশকে নানান তথ্য দিয়ে অভিযান চালাতে বলতেন প্রতারক চক্রের এক ব্যক্তি। অন্তত দুই থেকে তিন বছর ধরে এভাবেই পুলিশকে বোকা বানিয়ে আসছিল চক্রটি। অবশেষে তথ্য যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে দুঃসাহসী সেই প্রতারকের কাহিনী।
২৯ জানুয়ারি গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে ফোন করে দ্রুত টিম পাঠাতে এভাবেই মাদকের তথ্য দিচ্ছিলেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি। সে অনুযায়ী নির্দিষ্ট হোটেলে অভিযানও চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। তবে, কিছুই পাওয়া যায়নি।
ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নামে গোয়েন্দারা। এর মধ্যেই আরেক অপরাধের তথ্য জানাতে ফোন করেন সেই ব্যক্তি। সেখানেও ছিল তথ্যের গড়মিল।
এরপর ওই ব্যক্তির পরিচয় জানতে মাঠে নামেন গোয়েন্দারা। জানা যায়, মৌলভীবাজারের ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী জাকির হোসেন প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে অভিনব প্রতারণার কৌশল বেছে নেন।
ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, সে অন্তত শত শত মানুষকে কখনো এমপি, কখনো এসপি, কখনো ওসি পরিচয় দিয়ে টেলিফোন দিয়ে; কখনো আবার সিজিএম পরিচয় দিয়ে মামলার তদবির করা, অথবা থানায় ফোন দেয় সিএমএম পরিচয় দিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই থানার কর্মকর্তারা তাকে সমমান দিয়ে কাজটা করার চেষ্টা করে। এভাবে সে অনেক মানুষকে প্রতারিত করেছে। এভাবে সে টাকাপয়সা আত্মসাৎ করে।
জাকির মাঝেমধ্যে চুরিও করতো বলে জানায় তার প্রতিবেশীরা। তার কাছ থেকে একাধিক সিম উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই সিমগুলো ব্যবহার করে সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বোকা বানাতো সে।
ডিবি প্রধান আরও বলেন, সে একটা চোর। সে ভাঙ্গারির মাল চুরি করে। তার মা মানুষের বাসায় কাজ করে, বাবা ভ্যানগাড়ি চালায়। তার কণ্ঠ একটু শুক্ত ধরনের। সে প্রথমে টেলিফোন করে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করে সে এমপি।
জাকিরের সঙ্গে আর কারা জড়িত তা-ও খুঁজে দেখছেন গোয়েন্দারা।