আব্দুস সাত্তারকে জেতাতে মরিয়া ৩ রাজনৈতিক দল !
সাদাকালো নিউজ
আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে অনুষ্ঠিত হবে উপনির্বাচন। ইতোমধ্যে আসনটিতে বইছে নির্বাচনি আমেজ। চায়ের কাপে নির্বাচনী ঝড় তুলছেন স্থানীয়রা। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বদলাচ্ছে এই আসনের উপনির্বাচনের পরিবেশ।
এরিমধ্যে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা উকিল আব্দুস সাত্তার শুরু করেছেন তার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। প্রায় প্রতিদিন সভা-সেমিনার, গণসমাবেশ, মিছিলসহ নানা কর্মসূচিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। উপনির্বাচনে বিএনপির দলছুট নেতা আব্দুস সাত্তারকে জেতাতে সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের পাশাপাশি বিএনপির সাবেক নেতাসহ জাতীয় পার্টির বেশ কয়েকজন এক টেবিলে বসেছেন।
সম্প্রতি সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আয়োজন করা হয় গোল টেবিল বৈঠকের। এতে সভাপতিত্ব করেন সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন ঠাকুর। জানা গেছে, সভায় সমন্বয়কারী ছিলেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার। তিনি ছাড়াও উপজেলার ৯টি ইউপির মধ্যে পাঁচটির চেয়ারম্যানরা সভায় অংশ নেন।
এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন ঠাকুর জানান, যেহেতু সাত্তার সাহেব দল পরিবর্তন করে এখন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাই এলাকার মুরব্বি হিসেবে আমরা তার নির্বাচনের বিষয় উপজেলার ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে বসেছিলাম। সেখানে ৫/৭ জন বিএনপির নেতাও থাকতে পারে। যেহেতু তিনি দল পরিবর্তন করেছেন আমরা সকলেই দল, মত নির্বিশেষে তাকে সমর্থন জানাই।
রফিক উদ্দিন ঠাকুর আরও বলেন, ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। একজন আরেকজনের ভোট দিতে পারবে না। কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি বাড়াতে হবে। সবাই নিজ নিজ এলাকার ভোটারকে কেন্দ্রে উপস্থিত করার জন্য কাজ করতে হবে। সাত্তারকে বিজয়ী করতে হলে কমপক্ষে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ ভোটার কেন্দ্রে উপস্থিত করতে হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন বলেন, এই আসনে দলীয় প্রার্থী নেই। আব্দুস সাত্তার আগে ভিন্ন দল করতেন। প্রবীণ রাজনীতিবিদ, সৎ ব্যক্তি হিসেবে তার নির্বাচন তো আমরা করতেই পারি।
সভায় সমন্বয় করার বিষয়ে জানতে সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জব্বার বলেন, আমি সভায় সমন্বয় করিনি। উপজেলা চেয়ারম্যান আমাকে চায়ের দাওয়াত দিয়েছিলেন সেজন্য গিয়েছিলাম। ওই সময় নির্বাচন নিয়ে সভা হয়। তবে আমি সভায় ওইভাবে ছিলাম না। আমি আমার রাজনৈতিক দল বিএনপির বাইরে না, দলের সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত। নির্বাচনে সাত্তার সাহেবের প্রতি আমার কোনো সমর্থন থাকবে না।
এর আগে গত বছরের ১১ই ডিসেম্বর দলীয় সিদ্ধান্তে উকিল আব্দুস সাত্তার জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের পদ থেকে পদত্যাগ করে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। কিন্তু দলটির তিনজন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। পরে তারা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।