আরাভ খান কোথায়, জানালেন দুবাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
সাদাকালো নিউজ
রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান। দুবাইয়ের বিতর্কিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী। তাকে নিয়ে যেন আলোচনার শেষ নেই। প্রায় প্রতিনিয়ত তার নামে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে।
ফেরারি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতের পাসপোর্ট হয়ে দুবাইয়ে ঘাটি গেড়েছেন। এমন তথ্যে যখন সরগরম দেশের সংবাদ মাধ্যম। ঠিক সে সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, ইন্টারপোলের মাধ্যমে আরাভকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের দুদিন পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের কোনো অপরাধী রাজনৈতিক আশ্রয় ছাড়া অন্য কোনো দেশে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াতে পারবেন, এটা ভাবার কোনো অবকাশ নেই। ইতোমধ্যে সে দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ হয়েছে। আপনারা সময়মতো সবকিছু জানতে পারবেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফর দেশের একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রবিউল ইসলাম আটক হননি। আরাভ যেহেতু ভারতের পাসপোর্টে দুবাই গেছেন, সে কারণে পুলিশ তাকে ধরলে প্রথমে ভারতকে জানাবে।
আরাভের লাপাত্তার বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি পালিয়েও যাননি। দুবাই পুলিশের একটি সোর্স থেকে জানা গেছে, তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ইন্টারপোল যখন থেকে গেছে তখন থেকেই সে সার্ভিলেন্সে আছে।
রবিউল নামে মামলার আসামি হলেও সোহাগ মোল্লা, হৃদয়, আপন নামেও পরিচিত এই যুবক। দুবাইয়ে এখন আরাভ খান নামে গহনার দোকানের মালিক তিনি। এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, অনেকগুলো নাম আছে। যেহেতু বাংলাদেশে আগে থেকে ওয়ান্টেট ছিল রবিউল নামে। এটার সাথে অন্যান্য নাম যা যা সব আছে, সেগুলো পাঠিয়েছে সেভাবে, এদেশের পুলিশ সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
চার বছর আগে ঢাকায় এক পুলিশ কর্মকর্তার জীবন নেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত হওয়ার পর দেশ থেকে পালিয়ে যান রবিউল ইসলাম। প্রথমে ভারতের কলকাতায় গিয়ে আশ্রয় নেন। এরপর আরাভ খান নামে পাসপোর্ট বানিয়ে দুবাইয়ে চলে যান।
চাকচিক্যে ভরা দেশটিতে এখন বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান। ১৫ই মার্চ দুবাইয়ের নিউ গোল্ড সুকে জমকালো অনুষ্ঠানে আরাভ জুয়েলার্স নামে একটি গয়নার দোকানের উদ্বোধন করেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ক্রীড়া ও বিনোদনজগতের অনেক তারকাকে হাজির করে গণমাধ্যমের আলোচনায় উঠে আসেন রবিউল ইসলাম।
পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে দুবাইয়ে থাকলেও প্রবাসীদের কাছে তিনি বাংলাদেশি হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। এর মধ্যে ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশেও ঘুরে গেছেন তিনি।
রবিউলের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়। তাঁর বাবা একজন ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী। কয়েক বছরের মধ্যে তাঁর এত টাকার মালিক বনে যাওয়ায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।