দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভের ৫ স্ত্রী!
সাদাকালো নিউজ
দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করে সারা দেশে আলোচনায় আরাভ খান। একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে শেষ করে দেয়ার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত তিনি। ফেরারি আরাভ কিভাবে এতো টাকার মালিক হলেন এমন প্রশ্ন এখন সবার মনে। প্রতিদিন নিত্য নতুন তথ্য আসছে তার বিরুদ্ধে। এবার জানা গেল পাঁচটি বিয়ে করেছেন সমালোচিত এই স্বর্ণ ব্যবসায়ী। সব শেষ স্ত্রীকে নিয়ে দুবাইয়ে বসবাস করেন তিনি।
আরাভ খানের চাচাতো ভাই ফেরদৌস মোল্লা জানান, সোহাগ মোল্লা ওরফে আরাভ খান পাঁচটি বিয়ে করেছেন। শেষের বিয়েটি করেছেন ভারতের কলকাতায়। এই স্ত্রীকে নিয়েই এখন দুবাই থাকেন তিনি। তবে তার বাকি স্ত্রীদের কোনো হদিস নেই। কিছুদিন আগে আরাভের মা-বাবা, দুই বোন এলাকা ছাড়েন। যাওয়ার সময় তারা বলে যান দুবাই যাচ্ছেন।
কোটালীপাড়ার হিরণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজহারুল আলম পান্না বলেন, সোহাগ মোল্লা ওরফে আরাভ খান একি ব্যক্তি। আমার গ্রামেই তার বাড়ি। সে দরিদ্র পরিবারের সন্তান। গত পাঁচ সাত বছর ধরে সে এলাকায় আসে না। হঠাৎ করে সে কীভাবে এত টাকার মালিক হলো সেটা বুঝতে পারছি না।
এদিকে গেল বৃহস্পতিবার ফেসবুক লাইভে এসে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে কথা বলেন রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান। তিনি বলেন, আমি একজন দিনমজুরের ছেলে। আমি ঢাকায় এসে অনেক কষ্ট করেছি। হোটেলে কাজ করেছি। অনেক কষ্ট করে আমি আজ এ অবস্থানে এসেছি। আল্লাহ যদি আমাকে সুস্থ রাখে তা হলে খুব শিগগির দেশের ৬৪ জেলায় ৬৪ মসজিদ নির্মাণ করব।
নিজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের কথা তুলে ধরে আরাভ খান বলেন, আমার নামে মামলা হয়েছে এ কথা সত্য। তবে আমি কোনো পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় হাজতে গেছি। আবার জামিনে বেরিয়ে এসেছি। আদালত যদি আমাকে সাজা দেন, তা হলে আমি সে সাজা মাথা পেতে নেব।
নিজের ব্যবসা সম্পর্কে বলতে গিয়ে আরাভ খান বলেন, অনেক কষ্ট করে আমি আমার এই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়েছি। এখানে আমার কিছু ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষ তৈরি হয়েছে। তারাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রটাচ্ছে। গণমাধ্যমে যেসব খবর আসছে তা পুরোপুরি সত্য নয় বলে জানান আলোচিত এই স্বর্ণ ব্যবসায়ী।
গেল বুধবার রাতে দুবাইয়ের হিন্দ প্লাজায় আরাভ জুয়েলারি স্বর্ণের দোকানের উদ্বোধন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ে যান ক্রিয়াঙ্গন ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের বেশ কয়েকজন তারকা। তাদের মধ্যে ছিলেন, সাকিব আল হাসান, অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি ও আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম।
২০১৮ সালে পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন এমরান খান ঘটনার পর পালিয়ে ভারতে চলে যান সে সময়ের ৩০ বছর বয়সী রবিউল ইসলাম। সেখানে বিয়ে করেন। পরে ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেন। সেই পাসপোর্ট দিয়েই পাড়ি জমান দুবাইয়ে। এখন তিনি দুবাইয়ের বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ী।