গ্রামীণফোন ও আমেরিকান টোব্যাকোর ঋণমান প্রকাশ
সাদাকালো নিউজ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গ্রামীণফোন লিমিটেড এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গ্রামীণফোন: কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’। আর স্বল্পমেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-১’। ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাবছরের জন্য কোম্পানিটি ৯৫ শতাংশ চূড়ান্ত লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। অর্থাৎ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর হিসাববছরের জন্য সর্বমোট ২২০ শতাংশ দিচ্ছে গ্রামীণফোন। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ২২ পয়সা। এছাড়া আলোচিত সময়ে তাদের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪৭ টাকা ২৬ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২ মে সকাল সাড়ে ১০টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে।
২০২২ হিসাববছরে ১৫ হাজার ৪০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা রাজস্ব অর্জন করেছে গ্রামীণফোন, যা কিনা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় পাঁচ দশমিক শূন্য এক শতাংশ। গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সিম বিক্রির ওপরে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিষেধাজ্ঞার কারণে আগের বছরের তুলনায় পাঁচ শতাংশ কম গ্রাহক গ্রামীণফোন নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পেরেছে। সব মিলে বছর শেষে গ্রামীণফোনের গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত কোটি ৯১ লাখ। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের মধ্যে ৫৫ শতাংশ বা চার কোটি ৩৬ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন, যা ২০২১ সালের শেষের তুলনায় ২ দশমিক ২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো: কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’। আর স্বল্পমেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-১’। ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫৪০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৪০ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ তিন হাজার ১৪১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ৫৪ কোটি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৭২ দশমিক ৯১ শতাংশ, সরকারি শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১২ দশমিক ৮৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ছয় দশমিক ৩১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে সাত দশমিক ৩১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০ শতাংশ চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বমোট ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (অন্তর্বর্তীকালীন ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশসহ) দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন যে ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছিল, তা এরই মধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে। অর্থাৎ চূড়ান্তভাবে সম্প্রতি ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৩ টাকা ১০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭৬ টাকা ২৭ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৫০ টাকা ০৪ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগামী ২৯ মার্চ বেলা ১১টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর আগের বছরে অর্থাৎ কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বমোট ২৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৭ টাকা ৭২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬৮ টাকা ১৩ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৪ টাকা ৭৩ পয়সা।