কোরবানির হাটে পশুর ঢল মিলছে না ক্রেতা
সাদাকালো নিউজ
কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুরের পশুরহাটটি বেশ ঐতিহ্যবাহী। এখানে প্রতিবছর কোরবানির সময় জেলার চার উপজেলার অন্তত ১০টি ইউনিয়নের খামারিরা গবাদিপশু বিক্রি করতে আসেন। চলতি বছর বন্যার কারণে গো-চারণভূমি ও খড় তলিয়ে নষ্ট হওয়ায় হাটে প্রচুর গরু উঠছে। তবে সেই তুলনায় ক্রেতা না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সরেজমিন জেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপুরের পশুরহাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
যাত্রাপুরহাটের ব্যবসায়ীরা জানান, সদর উপজেলা, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও উলিপুর উপজেলার অন্তত দশটি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশত নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের খামারিরা এ হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা করেন। চলতি বছরের বন্যায় ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও ধরলা নদীর অববাহিকা এলাকার চারণভূমি ও খড় তলিয়ে নষ্ট হওয়ায় চরম গো-খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে এসব অঞ্চলের অনেক খামারিই তাদের গবাদিপশু যাত্রাপুরের কোরবানির হাটে এনে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে করে গবাদিপশুর আমদানি বেশি হওয়ায় এবং তুলনামূলক ক্রেতার সমাগম না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা।
বিক্রেতারা বড় গরুর দাম হাঁকছেন দেড় লাখ থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ৯০ থেকে ১০০ কেজি ওজনের গরুর দাম ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। তবে ক্রেতা-সংকটের কারণে জমে উঠছে না ঐতিহ্যবাহী কোরবানির এ হাটটি।