কে এই গৌতম আদানি? কীভাবে হলেন বিপুল সম্পদের মালিক?
সাদাকালো নিউজ
গৌতম আদানি। ব্যবসায় পাল্লা দিয়ে মুকেশ আম্বানীকে টপকে তিনি এখন ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। শুধু দেশেরই না, সমীক্ষা বলছে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় এখন দ্বিতীয় স্থানে এ শিল্পপতির নাম।
ফোর্বস রিয়েল টাইম ইনডেক্সের তালিকা অনুযায়ী, একদিনেই আদানির সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর সুবাদে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসকে পেছনে ঠেলে দিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী হয়ে গেছেন তিনি। বর্তমানে আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ২৪২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, গেল শুক্রবার শেয়ার বাজার খুলতেই ফুলেফেঁপে উঠে আদানি গ্রুপ। মুম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জে আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি পোর্ট এবং আদানি ট্রান্সমিশন রেকর্ড গড়ে। শেয়ার বাজারের এই লাভে ভর করে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন আদানি।
সূত্র বলছে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত আদানির সম্পত্তির পরিমাণ ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় যারা ১০ নম্বরে আছেন, চলতি বছর তাদের মধ্যে কারও সম্পদ এত বৃদ্ধি পায়নি। ফেব্রুয়ারিতে রিলায়েন্সের মুকেশ আম্বানিকে টপকে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির মুকুট ছিনিয়ে নেন আদানি। গত মাসে ধনীতম ব্যক্তির তালিকায় বিল গেটসকে ছাপিয়ে যান। আদানির কাছে হেরে গেছেন অ্যামাজনের জেফ বেজোসও। ১৯৬২ সালে ভারতের গুজরাটে জন্ম নেন গৌতম আদানি। গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্যের ছাত্র ছিলেন তিনি। কিন্তু পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমেই আজ তার অডেল সম্পদ।
আদানি গ্রুপের অধীনে রয়েছে মোট সাতটি কোম্পানি। বন্দর ব্যবস্থাপনা, কয়লা উৎপাদন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, গ্যাস সরবরাহ, সড়ক ও রেলপথ নির্মাণ, প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ সরঞ্জাম উৎপাদন, বিমানবন্দর পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা, আমদানি রপ্তানি পণ্য পরিবহন, আবাসন, ভোজ্যতেল, খাদ্যপণ্য এরকম নানা খাতে ব্যবসা রয়েছে কোম্পানিটির।