কে এই আবু হেনা রনি? গাজীপুরে কী হয়েছিল তার সঙ্গে?
সাদাকালো নিউজ
নাম আবু হেনা রনি। বাংলাদেশের জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের চতুর্থ বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে গিয়ে আগুনে পুড়ে গেছেন তিনি। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে রাখা হয়েছে তাকে। ১৯৮৭ সালের ১৪ই ডিসেম্বর নাটোর উপজেলার বিলদহর গ্রামে জন্ম নেন রনি। তার বাবা আব্দুল লতিফ অবসরপ্রাপ্ত বিদ্যালয় শিক্ষক। মা বিনা বেগম গৃহিণী। চার ভাইয়ের মধ্যে রনি দ্বিতীয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন রনি।
ছেলেবেলা থেকেই কৌতুক করতেন রনি। ২০১০ সালে হা-শো নামের একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অভিষেক হয় তার। ২০১১ সালে ওপার বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি কমেডি শো মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জারের-৬ সিজনে অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। কৌতুকের পাশাপাশি বিভিন্ন টিভি চ্যানেলেও উপস্থাপনা করেন।
প্রথম আলো তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজীপুরে পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রনি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানটি শুরুর আগে অতিথিদের উদ্বোধনী মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রধান অতিথির হাতে বেশকিছু বেলুন দেয়া হয়। কিন্তু বার বার চেষ্টার পরও বেলুনগুলো উড়ছিল না। পরে কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেলুনগুলো নিয়ে মঞ্চের পাশে চলে যান। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চলে যান মূল মঞ্চে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন প্রথম আলোকে বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চলে যাওয়ার পরে কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেলুন বিক্রেতাকে ডেকে বকাঝকা করেন। এরপর বিক্রেতা নিজেই বেলুনগুলো ওড়ানোর চেষ্টা করেন। এমনকি বেলুনগুলোতে আগুন লাগিয়ে দেন। এ সময় পাশে বসে থাকা আবু হেনা রনিসহ পাঁচজন পুরে যান।
পরে পুলিশ সদস্যরা সেই আগুন নেভান। দ্রুদ তাদের গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবু হেনা রনি, মোশাররফ হোসেন ও জিল্লুর রহমানকে ঢাকায় পাঠানো হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মনিরা আক্তার প্রথম আলোকে জানান, রনির শরীরের ৪০ ভাগ, মোশাররফ হোসেনের ৩০ ভাগ ও অন্য ব্যক্তিরা ২০ ভাগ পুড়ে গেছেন।