কেন হারিয়ে গেলেন এই মুসলিম অভিনেত্রী?
সাদাকালো নিউজ
ফারাহ নাজের শুরুটাই হয়েছিল বড় ব্যানারে। ক্যারিয়ারে পরপর সফল ছবি। ধরে নেয়া হয়েছিল তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া। কিন্তু সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়। ক্যারিয়ারে প্রাথমিক সাফল্য পাওয়া সত্ত্বেও হঠাৎ হারিয়ে যান!
সুন্দরী এই নায়িকা হায়দরাবাদে জন্মালেও থিতু হন মুম্বাইয়ে। ১৯৮৫ সালে যশ চোপড়ার ব্যানারের ‘ফসলে’ দিয়ে বলিউড অভিষেক হয় তাঁর। মহেন্দ্র কাপুরের ছেলে রোহন কাপুরের বিপরীতেও অভিনয় করেন। ছবিটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়লে সুঅভিনেত্রী হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পান ফারাহ।
মাত্র ১৭ বছর বয়সে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ফারাহ। পর্দায় যাকে সাধাসিধে মিষ্টি চরিত্রে দেখা যেত বাস্তবে তিনি ছিলেন ঠিক উল্টো। অভিনয় আর সৌন্দর্য দিয়ে বলিউডে একসময় রাজত্ব করা এ অভিনেত্রী ছিলেন রাগী চরিত্রের মানুষ। যার ফলে নানা কারণে আলোচনায় থাকতেন তিনি।
১৯৯৬ সালে অভিনেতা বিন্দু দারা সিংকে বিয়ে করেন ফারাহ। ক্যারিয়ার যখন তুঙ্গে ঠিক তখনই বিয়ে করে কাজ থেকে বিরতিতে চলে যান। পরের বছর তাঁদের ঘরে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। যদিও বেশি দিন টেকেনি সেই সংসার।
বিচ্ছেদ হওয়ার ছোট পর্দায় নাম লেখান ফারাহ। আর সেখানেই আলাপ হয় অভিনেতা সুমিত সেহগালের সঙ্গে। পরে ২০০৩ সালে সুমিতকে বিয়ে করেন এই অভিনেত্রী। বর্তমানে স্বামী সুমিত ও ছেলের সঙ্গে মুম্বাইতে থাকেন ফারাহ।
দ্বিতীয় বিয়ে করার পর ফের বড় পর্দায় অভিনয় শুরু করেন ফারাহ। পরপর তিন চার বছর কয়েকটি হিন্দি ছবিতে ফারহাকে দেখা যায়। তারপর আবার অভিনয় জগত থেকে উধাও হয়ে যান তিনি। ফারহাকে শেষ দেখা গিয়েছিল ২০০৫ সালে, ‘হালচাল’ ছবিতে।
কয়েক বছর আগে প্রয়াত অভিনেতা ঋষি কাপুর টুইট করেছিলেন ফারাহ নাজকে নিয়ে। তিনি লেখেন, ফারাহ ভালো অভিনেত্রী হলেও তাঁর অপেশাদারিত্বের কারণে হারিয়ে গেছেন। এছাড়াও যশ চোপড়ার স্ত্রী পামেলা চোপড়াকে অপমান করাসহ বেশ কিছু বিতর্কিত কাজের মাধ্যমে অভিনেত্রী ফারাহ নিজের একটি নেতিবাচক ইমেজ তৈরি করেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন ঋষি কাপুর