কেন বাতিল হলো ক্যাসিনো সম্রাটের জামিন?
রাকিবুল ইসলাম
যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও কাজী মো. ইজহারুল হক আকন্দের দ্বৈত বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। আদালত বলেন, মেডিকেল রিপোর্ট না দেখে সম্রাটকে স্বাস্থ্য বিবেচনায় জামিন দেয়া বেআইনি ও অস্বচ্ছ। বিচারিক আদালতের বিচারক এই জামিনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। তাই এই জামিন বহাল থাকতে পারবে না।
এর আগে গত বুধবার সম্রাটের শারিরিক অবস্থা বিবেচনা করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। সেদিন তাঁকে তিনটি শর্তে জামিন দেয়া হয়।
ওইদিন কারাগারে জামিনের কাগজ পৌঁছালে বিকেলেই তাকে মুক্ত করে দেয়া হয়। আগে থেকেই সম্রাট ঢাকা কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের আওতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগে ভর্তি ছিলেন। জামিনের পরও তিনি সেখানে ভর্তি আছেন।
সম্রাটের জন্ম ফেনীর পরশুরামে। তাঁর বাবা ফয়েজ আহমেদ ছিলেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। বাড়ি পরশুরামে হলেও সেখানে তাঁদের পরিবারের কেউ থাকেন না। বাবার চাকরির সুবাদে ঢাকায় বড় হন সম্রাট।
সম্রাটের বড় ভাই বাদল চৌধুরী ঢাকায় তাঁর ক্যাসিনো ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। ছোট ভাই রাশেদও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সম্রাট থাকতেন রাজধানীর মহাখালীতে। সম্রাটের স্ত্রীর নাম শারমিন চৌধুরী।