কূটনীতিকদের কাছে জায়েদার চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়!
সাদাকালো নিউজ
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আর মাত্র দু’দিন বাকি। এর মধ্যেই কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের কাছে ইংরেজিতে লেখা একটি চিঠি পাঠিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। তিন পাতার ওই চিঠির একটি পাতা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরেছে।
জানা গেছে, জায়েদা খাতুনের চিঠিটি চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারকে দেয়া হয়েছে। চিঠিতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে বেশকিছু দাবি জানিয়েছেন জায়েদা খাতুন।
চিঠিতে জায়েদা খাতুন বলেন, আমি জায়েদা খাতুন আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ‘টেবিল ঘড়ি’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আমি গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলমের মা। আমি আমার নির্বাচনী প্রচারণায় নামলেই লাখো শান্তি প্রিয় মানুষ আমার প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।
চিঠিতে জায়েদা খাতুন আরও বলেন, ৯ মে প্রতীক পাওয়ার পর থেকে নির্বাচনী আইন অনুযায়ী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত আজমত উল্লা খান আমাকে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বাধা দিচ্ছেন, বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন।
চিঠিতে অভিযোগ করে জয়েদা খাতুন জানান, আজমত উল্লা খান তার লোকজন নিয়ে গণসংযোগের সময় তার গাড়িবহরে বাধা দিচ্ছেন। আর এসব ঘটনা তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগও দিয়েছেন। এরপরও ১৮ মে টঙ্গীর ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে আজমত উল্লা খানের বাহিনী তার গাড়িবহরকে বাধা দেয়।
চিঠিতে নির্বাচনী এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করারও অনুরোধ জানানো হয়েছে। অবশ্য এর আগেও নির্বাচন কমিশন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, রিটার্নিং অফিসারসহ অন্যদের কাছে একি দাবিতে চিঠি দিয়েছিলেন জায়েদা খাতুন।
চিঠির বিষয়ে জায়েদা খাতুনের ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম জানান, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক সিটি নির্বাচন করতে তাদের পক্ষ নিয়ে কেউ একজন এই চিঠি দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনার বলেছেন সুষ্ঠু ভোট করবে। সিসি ক্যামেরা দিবে, ইভিএমে ভোট হবে। যার ভোট সে দিবে, যে ভোট পাবে তার নামে ডিক্লিয়ার হবে। ইসি যে কমিটমেন্ট করছে সেটা বাস্তবায়ন চান জাহাঙ্গীর।
গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। ৫৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৩৯ জন এবং সংরক্ষিত ১৯টি নারী কাউন্সিলর পদে ৭৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি। আগামী ২৫ মে এ নগরীর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।